এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’র প্রভাবে কক্সবাজারে সাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। আজ রোববার (২৫ মে) সকালে সাগরে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে দু-তিন ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। দুপুরে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কক্সবাজারের বেশ কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
বিশেষ করে কক্সবাজার সদরের কুতুবদিয়া পাড়া সমিতি পাড়াসহ জেলার ১০টি গ্রামে সাগরের জোয়ারের পানি ঢুকেছে। সন্ধ্যায় উপকূল এলাকায় ৫ থেকে ৬ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়ে জলোচ্ছ্বাসের কথা বলেছে আবহাওয়া অফিস।
সেন্টমার্টিন্স দ্বীপে বাতাসের গতিবেগ বৃদ্ধি পেয়েছে। দ্বীপের বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে।
সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে। সৈকতে জেলা প্রশাসনের নিয়োজিত বিচ কর্মী, ফায়ার সার্ভিস ও লাইফ গার্ড কর্মীরা পর্যটকদের সতর্কতা জারি করে মাইকিং করেছে। সৈকতে পর্যটকদের গোসল করতে নিষেধ করা হয়েছে।
এদিকে, কক্সবাজার বিমানবন্দরে আজ সকাল থেকে সব ধরনের বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া কক্সবাজার টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ রোডের বেশ কয়েকটি পয়েন্টে গাছ ভেঙে পড়ায় এই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
দুপুরে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে এক ব্রিফিংয়ে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহীন ইমরান জানিয়েছেন: জেলার কুতুবদিয়া মহেশখালী মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরসহ উপকুল ও নিম্নাঞ্চলের ঝুকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের আশ্রয় কেন্দ্রে চলে আসার জন্য স্বেচ্ছাসেবকরা মাইকিং করছে। ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় কক্সবাজারে ব্যপক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসন। এ জন্য কক্সবাজার জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির উদ্যোগে এক জরুরি সভা করেছে।
শনিবার রাত থেকে কক্সবাজারে বাতাসের গতিবেগ বৃদ্ধি পেয়েছে। রাতে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি বৃষ্টি হয়েছে। সাগরে মাছ ধরার ট্রলারগুলোকে উপকূলে নিরাপদে চলে আসতে বলা হয়েছে।