রাজধানীর পূর্বাচলে আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ৩৭.৪৯ একর জমি বুঝে পেয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ন্যূনতম ৫০ হাজার দর্শক-আসন রেখে আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধার সম্মিলন ঘটিয়ে শিগগিরই নির্মাণ কাজ শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান।
প্রাথমিক নকশা অনুযায়ী স্টেডিয়ামটি রূপ নেবে ক্রিকেট কমপ্লেক্সে। সুবিশাল চত্বরে থাকবে ক্রিকেট একাডেমি, ইনডোর, সুইমিং পুল, জিমনেশিয়াম, প্লেয়িং ফিল্ড থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় সব ধরণের অবকাঠামো। কাছাকাছি জায়গায় থাকবে একটি পাঁচ তারকা হোটেলও।
পূর্বাচলে স্টেডিয়াম নির্মাণের পরিকল্পনা আরও আগে নেয়া হলেও জমি সংক্রান্ত জটিলতায় তা থমকে ছিল। সেটি কেটে গেছে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায়। নামমাত্র মূল্য ১০ লাখ টাকায় বিসিবির নামে বিস্তীর্ণ জমিটি হস্তান্তরিত করা হয়েছে। বিসিবি চাইছে নিজেদের খরচে যতদ্রুত সম্ভব স্টেডিয়ামটি নির্মাণ করতে।
‘স্টেডিয়াম করার জন্য ৩৭.৪৯ একর জমি আমরা পেয়েছি। সেজন্য বোর্ড মিটিংয়ে সর্বপ্রথম আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। ওনার সহযোগিতা ছাড়া এই জায়গাটা পাওয়া কখনোই সম্ভব হত না।’ শনিবার বোর্ড সভা শেষে সুখবরটি এভাবেই দেন নাজমুল হাসান।
‘ইতোমধ্যেই জায়গা আমাদের নামে হস্তান্তর হয়ে গেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এটা আমাদের ১০ লাখ টাকায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’ -যোগ করেন বিসিবি সভাপতি।
স্টেডিয়ামের ডিজাইনার এবং পরামর্শক নিয়োগে দ্রুততম সময়ে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হবে বলেও জানালেন দেশের ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থার প্রধান। তিন বছরের মধ্যেই যাতে পুরো স্টেডিয়াম নির্মাণ শেষ হয়, সেটি উল্লেখ করেই পরামর্শক নিয়োগ দেয়ার কথা বললেন।
অনেকের ভেতর থেকে নির্বাচিত ডিজাইনার এবং পরামর্শক পূর্বাচলের জন্য ইতোমধ্যেই প্রস্তুতকৃত কনসেপ্ট ডিজাইনের ভিত্তিতে কাজ শুরু করবেন। এজন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে। যে কমিটিতে থাকবেন বিসিবি এবং বিসিবির বাইরের পরামর্শকেরা।
‘আমরা নিজেরাই করব, নিজ খরচে করব। যেহেতু আমরা চাচ্ছি স্টেট অব আর্ট স্টেডিয়াম হবে। দেখার মতো একটা জায়গা হবে। এটা ক্যাপাসিটি বেশি হবে। এটার ডিজাইনের কারণে খরচ বেশি হবে। আমরা চাইছি এটা একটা আইকনিক কিছু করব। দর্শক ধারণ ক্ষমতা- মিনিমাম ৫০ হাজার।’
‘এই স্টেডিয়ামের সঙ্গে একাডেমি থেকে শুরু করে ইনডোর, সুইমিং পুল, জিমনেশিয়াম যা যা লাগে। সাথে পাঁচ তারকা মানের একটা হোটেলও ওখানে চাচ্ছি। কিন্তু ওটা আমরা করবো না। আগে আমরা স্টেডিয়াম করবো। পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদন পেলে বুঝব প্রকল্প বাস্তবায়নে কত খরচ লাগবে।’ জানান নাজমুল হাসান।