১০ দিনের ব্যবধানে পুনরায় যমুনায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দ্বিতীয়বারের মতো বন্যা কবলিত হয়ে পড়ছে সিরাজগঞ্জ জামালপুরের নিম্নাঞ্চল । নদী তীরবর্তী চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের প্রায় ৩০ টি ইউনিয়নের মানুষ বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে সাড়ে তিন হাজার ফসলি জমি।
সিরাজগঞ্জ জেলায় উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ও ভারী বর্ষণের কারণে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
বন্যায় কাজিপুর উপজেলার মানুষের বেশী দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বন্যা দুর্গত এলাকায় ত্রাণ সহায়তা না পাওয়ার অভিযোগও রয়েছে।
সোমবার সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এ কে এম রফিকুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ২০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ০৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কাজিপুর পয়েন্টে ৩১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আগামী ৭২ ঘণ্টা যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
এদিকে, জামালপুরের যমুনার পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫১ সেন্টি মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ইসলামপুর, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, বকশিগঞ্জ,সরিষাবাড়ী, উপজেলার ৩ টি পৌরসভার ২৩ টি ইউনিয়নের ১১৯ টি গ্রামের ১ লাখ ১৪ হাজার ৭৩৩ জন লোক নতুন করে পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।
এখন পর্যন্ত বন্যায় ২৮ হাজার ৬১২টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৪৬১ টি আশ্রয় কেন্দ্রের মধ্যে ১৪ টি আশ্রয় কেন্দ্রে ২৪১ টি পরিবারের ১ হাজার ২১২ জন আশ্রয় নিয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক জানিয়েছেন, বন্যা দুর্গতদের জন্য ভিজিএফ এর ৩ লাখ ৪০ হাজার ৮৫৭টি পরিবারের জন্য ৩ হাজার ৪শ ৮ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ ও ৬৮৪ মেট্টিকটন জিআর চাল দেওয়া হয়েছে।
সেই সাথে নগদ ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিতরন করা হয়েছে। ৪ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ও ২ লাখ টাকার শিশু খাদ্য এবং ২ লাখ টাকার গো খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে।