ইন্টারনেটে যোগাযোগের জনপ্রিয় একটি মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপ। চ্যাটিং এবং ছবি শেয়ারিংয়ের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় তথ্য আদান-প্রদানের কাজেও ব্যবহৃত হয় অ্যাপটি। তবে এবার প্রতিবেশী দেশেই অ্যাপটি ব্যবহার হলো স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার জন্য!
ভারতের কেরালা রাজ্যে ২৪ বছর বয়সী এক মুসলিম নারীকে বিয়ের মাত্র ১০ দিন পরই হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠিয়ে তালাক দিয়েছে তার প্রবাসী স্বামী।
‘আমার স্বামী আমাকে হোয়াটসঅ্যাপে তালাক, তালাক, তালাক লিখে মেসেজ পাঠায়,’ জানান তালাকপ্রাপ্ত নারী, ‘তারপর সে আমাকে ফোন করে ঈশ্বরকে সাক্ষী রেখে একই কথা বলে। সে আমাকে একই কথা ই-মেইল করেও জানিয়েছে।’
তালাক দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে স্বামী তাকে জানান, স্ত্রীর সে প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে।
স্বামী আজমল বশিরের ভাষায়, ‘আপেল কারো ভালো লাগতেই পারে, কিন্তু সে তো আমও খেতে চাইতে পারে।’
বিয়ের সময় ওই মেয়ের মা পাত্রপক্ষকে ১০ লাখ রুপি এবং ৬শ’ ৬০ গ্রাম স্বর্ণ যৌতুক হিসেবে দিয়েছিলেন বলে দাবি ভুক্তভোগীর।
এরপর আজমল কর্মসূত্রে বিদেশে চলে যান। যাওয়ার আগে ডেন্টাল বিষয় নিয়ে পড়াশুনা করা স্ত্রীর পড়া বন্ধ করে ঘরেই বসিয়ে রাখেন।
বিদেশে যাওয়ার দু’সপ্তাহের মধ্যেই আজমল হোয়াটসঅ্যাপে ওই মেসেজ পাঠান স্ত্রীকে। বাড়ি ছেড়ে যেতে না চাইলে তাকে নির্যাতন করে বের করে দেওয়া হয় বলেও হুমকি দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকদের বিরুদ্ধে রাজ্য নারী কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।
আজমল কনেপক্ষকে বিদেশে অফিসের মিথ্যা ঠিকানা ও পরিচয় দেওয়ায় তাকে খুঁজে পেতে সমস্যা হচ্ছে বলে কেরালা রাজ্য নারী কমিশন থেকে জানানো হয়েছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে আজমল দুবাইয়ে আছেন।