প্রেমাদাসায় ২৮৬ রানের বেশি তাড়া করে জয়ের ইতিহাস নেই। সেই মাঠে সিরিজের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে ২৯৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। রেকর্ড গড়া জয় না এলে বাংলাদেশকে পেতে হবে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা! বৃহস্পতিবার দেশে ফিরতে হবে শূন্য হাতে।
শেষ ম্যাচে নামার আগেই সিরিজ হেরে বসা বাংলাদেশ সান্ত্বনা পেতে চাইবে জিতে। কিন্তু সেটি হয়ে গেছে কঠিন পথ। শুরুতে উইকেট তুলে লঙ্কানদের কিছুটা চাপে রাখলেও পরে দল হিসেবে লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা বড় সংগ্রহই গড়ে ফেলেছেন। ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকরা তুলেছে ২৯৪ রান।
অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজের ৯০ বলে ৮৭ রানের ইনিংসে ভর করে তিনশর কাছাকাছি সংগ্রহ পায় শ্রীলঙ্কা। এছাড়া টপ ও মিডলঅর্ডারে কুশল মেন্ডিসের ৫৪, দিমুথ করুনারত্নের ৪৬, কুশল পেরেরার ৪২ ও শেষটায় দাসুন শানাকার ১৪ বলে ৩০ রানের ক্যামিও ইনিংসে প্রত্যাশিত পুঁজি পায় স্বাগতিক শিবির।
শফিউল ইসলাম ও সৌম্য সরকার নেন তিনটি করে উইকেট। রুবেল হোসেন ও তাইজুল ইসলাম নেন একটি করে উইকেট।
প্রেমাদাসায় রোদের দেখা মিলেছে ১০ ওভার খেলা হওয়ার পর। এই সময়টা শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানদের কোণঠাসা করে রাখতে পেরেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু রোদ উঁকি দিতেই পাল্টে গেছে স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ের ধরণ। শুরুতে উইকেট হারানোয় কিছুটা সতর্ক হয়ে সামনে আগানো লঙ্কানরা রানের গতি বাড়াতে হয়েছে মনোযোগী হয়।
শুরুতে শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানদের চাপে রাখে বাংলাদেশ। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে আভিস্কা ফার্নান্দোকে (৬) এলবিডব্লিউ করেন শফিউল ইসলাম। স্বাগতিকদের দলীয় সংগ্রহ তখন ১৩।
অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নের সঙ্গে কুশল পেরেরা জুটি গড়লে শুরুর ১০ ওভারে আসে ৩৬ রান। জুটিতে পরে ভালোই এগোচ্ছিলেন দুজনে। তাইজুল ৪৬ করা করুনারত্নেকে সাজঘরে ফেরালে ভাঙে ৮৩ রানের জুটি।
দলীয় সংগ্রহ তিন অঙ্ক ছোঁয়ার আগে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা ৮৩ রানের জুটি ভাঙেন তাইজুল। করুনারত্নে সাজঘরে ফিরতেই রুবেল পান সাফল্য। ফেরান কুশল পেরেরাকে। ৬ বলের ব্যবধানে থিতু হয়ে যাওয়া দুই ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে শ্রীলঙ্কার রানের লাগাম কিছুটা টেনে ধরে বাংলাদেশ। তবে থামানো যায়নি ম্যাথুজকে। এ ডানহাতির অসাধারণ ব্যাটিংয়ে চূড়া ছুঁয়েই থেমেছে লঙ্কানরা।