ভ্রাম্যমাণ আদালত নয় মানসম্মত ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের জন্য হোটেল ও রেস্তোরাঁর খাবারের মান গ্রেডিং পদ্ধতিতে নিয়ন্ত্রণ করবে নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তর।
রোববার হোটেল রেস্তোরাঁ গ্রেডিং পদ্ধতির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, মানসম্মত খাবেরর এই গ্রেডিং পদ্ধতি সময়োপযোগী সঠিক পদক্ষেপ।
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও ভেজাল খাদ্য পরিবেশনের জন্য রাজধানীর হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলোতে জরিমানা করে থাকে ভ্রাম্যমাণ আদালত। তবে এবার থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত নয় খাবার হোটেল ও রেস্তোরাঁর গুণগত মান নিয়ন্ত্রণ হবে গ্রেডিং পদ্ধতিতে।
প্রত্যেক রেস্টেুরেন্টের রান্নাঘরসহ খাবারের গুণগত মানের সমন্বয়ে যেসব রেস্টুরেন্ট ৯০ শতাংশ ঠিক থাকবে তারা ‘এ+’ যারা ৮০ থেকে ৮৯ ‘এ’, ৬০ থেকে ৭৯ ক্যাটাগরিতে তারা ‘বি’ এবং যেসব রেস্টেুরেন্ট ৫০ শতাংশ থাকবে তাদের ‘সি’ ক্যাটাগরিতে রাখা হবে।
রোববার নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তর আয়োজিত হোটেল রেস্তোরাঁ গ্রেডিং পদ্ধতির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে রাজধানীর ৫৮টি হোটেল ও রেস্তারাঁর কতৃপক্ষদের গ্রেডিং স্টিকার তুলে দেয়া হয়।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক রেস্টেুরেন্টের মালিক সচেতন হলে এই গ্রেডিং পদ্ধতি ভোক্তাদের উপকারে আসবে।
গ্রেডিং নিয়ে যেন কোনো রেস্টুরেন্ট অপব্যবহর না করে সেজন্য মনিটনিং কমিটি করা হবে বলে জানান ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন।
মোবাইল অ্যাপের গ্রেডিং পাওয়া রেস্টুরেন্টের সবধরণের তথ্য হাতের নাগালে পাবেন ভোক্তারা।
আন্তর্জাতিকভাবে মানসম্মত খাবার ভোক্তাদের মাঝে পৌঁছে দিতে সারাদেশের হোটেল ও রেস্তোরাঁয় গ্রেডিং পদ্ধতি নিয়ে আসা হবে বলে জানান নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তর।
বিস্তারিত ভিডিও রিপোর্টে: