মিটু আন্দোলনে বলিউডের অন্যতম আলোচিত ইস্যু অভিনেতা নানা পাটেকারের বিরুদ্ধে অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্তের শ্লীলতাহানির অভিযোগ। বিষয়টি আইন আদালত পর্যন্ত গড়ায়। যার রায় ছিলো বৃহস্পতিবার। আর এখানে নানা পাটেকারের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পান তিনি। তবে এতে থামছেন না তনুশ্রী।
তনুশ্রী হেরে গেলেও নানা পাটেকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা ব্যক্ত করেছেন তার আইনজীবী।
কোর্টের বক্তব্যর পর মুম্বাই পুলিশের প্রতিক্রিয়া শুনে তনুশ্রী দত্তের আইনজীবী অভিযোগ করে বলেন, নানা পাটেকরকে বাঁচানোর জন্য পুলিশ কাজ করেছে। এখনও অনেক সাক্ষীর বিবৃতি রেকর্ড করা হয়নি। এমনকি সায়নি শেট্টির বক্তব্যও পুরোপুরি রেকর্ড করা হয়নি। পুলিশ সঠিকভাবে তদন্ত করেনি, তাই আমরা এই রিপোর্টের বিরোধিতা করে মুম্বাই হাইকোর্টে একটি লিখিত আবেদন জানাবো।
অভিনেতা নানা পাটেকর এবং আরও তিনজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করছিলেন প্রাক্তন অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত। মুম্বাইয়ের ওশিওয়ারা পুলিশ স্টেশন এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। নানা পাটেকর, কোরিওগ্রাফার গণেশ আচার্য্য, পরিচালক রাকেশ সারাং ও প্রযোজক সামি সিদ্দিকির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির সংশ্লিষ্ট ধারায় শ্লীলতাহানি ও অশ্লীলতার অভিযোগ দায়ের হয়েছিল।
দু পাতার লিখিত অভিযোগে নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছিলেন তনুশ্রী। ২০০৮ সালেই নানা পাটেকরের হাতে ‘হর্ণ ওকে প্লিজ’ ছবির সেটে হেনস্তা হয়েছিলেন তিনি। নানার বিরুদ্ধে তনুশ্রীর অভিযোগ, নাচ শেখানোর অছিলায় তার শরীরে বিভিন্ন জায়গায় ‘অনাবশ্যক এবং অশ্লীলভাবে’ হাত দিচ্ছিলেন অভিনেতা।