হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবের ঘটনা দু’বছরে পা রাখলেও ওই ঘটনায় ৪২টি মামলার একটিরও তদন্ত শেষ করতে পারেনি পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগ। হেফাজত নেতা ছাড়াও বিএনপি ও জামায়াত নেতারাও ওইসব মামলায় আসামী। আসামীদের সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ায় সবাইকে সনাক্ত করা যায়নি বলে তদন্তকারীরা দাবি করেছেন।
২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলে মহাসমাবেশের নামে রাজধানী জুড়ে দিনভর তাণ্ডব চালিয়ে দোকান-পাট অফিস আদালতে হামলা ও আগুন দেয়ার পর শাপলা চত্বরে অবস্থান নেয় হেফাজত ইসলামসহ আরো কয়েকটি ধর্মীয় দল। সঙ্গে ছিলো বিএনপি এবং জামায়াত-শিবিরের কর্মী-সমর্থকরা, দাবি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর।
‘অপারেশন সিকিউর্ড শাপলা’ নামের এক অভিযানে হেফাজত কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছিলো পুলিশ ও র্যাব। সরকারিভাবে মৃতের সংখ্যা ১৩ বলা হলেও হেফাজতের দাবি অনেক বেশি। এই ঘটনা মামলা হয় ৪২টি। কিছু মামলার বাদী পুলিশ, কিছু মামলার বাদী ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি। কোনো মামলার তদন্তে থানা পুলিশ। কোনোটার তদন্তে ডিবি।
বিষয়টি নিয়ে মহানগর পুলিশের মুখপাত্র মোঃ মনিরুল ইসলাম জানান, আমরা জানি কাদের নির্দেশে কারা ওই ঘটনার ইন্ধন দিয়েছে। কাদের নির্দেশে ওই পরিকল্পনা সংগঠিত হয়েছে। কিন্ত ‘পারফেকট্রেটসম্যান ফুট সোলজার’ হিসেবে কারা কাজ করেছে তাদের অনেককে এখন পর্যন্ত চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। মামলার আসামীর সংখ্যা অনেক। মূলত সারাদেশ থেকেই কর্মী সমর্থক নেতা এসেছিলেন, ফলে এই আসামীদের চিহ্নিত করতে দেরি হচ্ছে।
মনিরুল আরো বলেন, এই ঘটনায় কোনো কোনো নেতা গ্রেফতার হয়েছিলো, হেফাজতের কেউ কেউ বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীও দিয়েছে। তাতে বেশ কিছু নাম এসেছে সেগুলো যাচাই বাছাই চলছে।
অপারেশন সিকিউর্ড শাপলার পর হেফাজতে ইসলাম এবং ‘অধিকার’সহ দু’একটি মানবাধিকার সংগঠন নিহতদের যে তালিকা দিয়েছিলো তাদের অনেকেই পরে জীবিত পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।