চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

হেড টু হেডে বাংলাদেশ পাকিস্তান

ক্রিকেটে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের নাম বাংলাদেশ-পাকিস্তান। এ পর্যন্ত দুই দল সর্বমোট ৩২ বার মুখোমুখি হয়েছে। সেখানে পাকিস্তানের ৩১ জয়ের বিপরীতে বাংলাদেশের জয় মাত্র ১টি ম্যাচে। তাও আবার ১৯৯৯ বিশ্বকাপে টাইগারদের প্রথম বিশ্ব আসরে। ঐ একটি মাত্র সান্তনার জয় অর্জন করতে পেরেছে বাংলাদেশ। তারপর কেটে গেছে প্রায় ১৬ বছর।

তবে বর্তমান এই দলটিকে সমীহ করছেন পাক কোচ ওয়াকার ইউনুস। আর করবেনই না কেন? বর্তমান পাকিস্তান দলের চেয়ে বেশ কয়েকটি  বিবেচনায় তুলনামূলক এগিয়ে বাংলাদেশ।

পাকিস্তানের হয়ে ১০০’তম ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে কেবল দুজন ক্রিকেটারের; মোহাম্মদ হাফিজ আর সাঈদ আজমল। তার বিপরীতে বাংলাদেশ দলের পাঁচজন ক্রিকেটার খেলেছেন শততম ম্যাচ। তারা হলেন; মাশরাফি, সাকিব, তামিম, মুশফিক ও মাহমুদুল্লাহ। পাকিস্তান স্কোয়াডের ১৫ ক্রিকেটারের খেলা মোট ম্যাচ মাত্র ৫৪০টি, যার মধ্যে গড়ে একজন খেলেছেন ৩৬টি ম্যাচ। অপরদিকে, বাংলাদেশ স্কোয়াডের ১৪ জন ক্রিকেটারের মোট ম্যাচ সংখ্যা ৮৬৭টি, যার মধ্যে গড় ম্যাচ ৬২টি। সফরকারীদের ১৫ জন ক্রিকেটার মিলে দলীয় সর্বমোট সংগ্রহ; ৯ হাজার ১১৬ আর স্বাগতিক দলের ১৪ জন নিয়ে দলীয় মোট রান; ১৭ হাজার ৭৯১। এছাড়াও পাকিস্তানের ১৫ জনের ব্যাটিং গড় ২৫ দশমিক ৭৫ এবং বাংলাদেশের ১৪ জনের ব্যাটিং গড় বেশি ২৮ দশমিক ৪২ করে।

পাকিস্তানী বোলারদের(১৫ জন) ৪৮৪ উইকেট শিকারের বিপরীতে টাইগার বোলারদের(১৪ জন) ৮০ উইকেট বেশি অর্থাৎ ৫৬৪টি। সবচেয়ে লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে বর্তমান পাকিস্তান দলের ১৫ জনের মধ্যে ৯ জনই খেলেনি এবারের বিশ্বকাপ। আর বাংলাদেশ দলের ১৪ জনের মধ্যে মাত্র ২ জন বাদে বাকি ১২ জনই ছিলেন বিশ্বকাপ স্কোয়াডে। তাই আশা করা হচ্ছে মাঠের লড়াইয়ে নামার আগে এই পরিসংখ্যানগুলো জেতার মানসিকতায় সাহায্য করবে।