পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ মার্কিন নাগরিক জর্জ ফ্লয়েড নিহত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে চলমান বর্ণবাদবিরোধী ‘ব্ল্যাক লাইভস মেটার’ আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছেন জনি ডেপ। সোশ্যাল মিডিয়া ইনস্টাগ্রামে র্যাপার কিলার মাইকের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন তিনি। ভিডিওতে কিলার মাইককে আটলান্টার মেয়রের অফিসে আবেগঘন বক্তব্য দিতে দেখা গেছে।
জনি ডেপ বলেন, ‘আমেরিকা সহ পুরো বিশ্বের মানুষ একজন মানুষকে অসহায় ভাবে মরে যেতে দেখেছেন টেলিভিশনের পর্দায়, আমিও দেখেছি। তিনি নির্মম বর্বরতা, নৃশংসতা, নিষ্ঠুরতা এবং অমানবিকতার শিকার হয়েছিলেন। হাতকড়া পরা একজন মানুষ জীবন ভিক্ষা চাইছিলেন, তার গলার উপরে শরীরের সমস্ত ভর দিয়ে রেখেছিলেন শান্তি রক্ষার শপথ নেয়া একজন। জর্জ ফ্লয়েড অফিসারকে বলছিলেন যে তিনি শ্বাস নিতে পারছেন না। অসহায় হয়ে নিজের মৃত মাকেও ডেকেছিলেন তিনি। নিরাপত্তা দেয়ার শপথ করা একজন মানুষই তার চেহারা রাস্তায় পিষে ফেললো, এটা দেখে আমাদের হৃদয় কিভাবে অক্ষত থাকবে? আমি আশা করি ক্ষমতার অপব্যবহার করা এই অফিসারের শাস্তি হবে।’
জনি ডেপ আরও বলেন, ‘প্রাণ ছিনিয়ে নিলে, তা আবার ফিরিয়ে দেয়া যায় না। ঠিক একই ভাবে, হৃদয় একবার ভেঙ্গে গেলে আর জোড়া লাগে না। আমরা বর্ণবাদ এবং মানুষের চেহারা নিয়ে বিচার করার বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার শপথ করি।’
জনি ডেপ তার ভক্তদেরকে কিলার মাইকের শক্তিশালী বক্তব্যটি শোনার অনুরোধ করেন।
৪৬ বছর বয়স্ক জর্জ ফ্লয়েডকে ২৫ মে সন্ধ্যায় প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের কিছুক্ষণ পর একজন পুলিশ অফিসার হাঁটু দিয়ে তাঁর গলা চেপে ধরলে কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি মারা যান। ফ্লয়েড মিনোপোলিস শহরের একটি রেস্তোরাঁয় নিরাপত্তাকর্মী হিসাবে কাজ করতেন। এ ঘটনায় একজন প্রত্যক্ষদর্শীর ধারণ করা ১০ মিনিটের একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে করোনা উপেক্ষা করে প্রতিবাদে সরব হন শত শত মানুষ।