জনপ্রিয় কৃষি অনুষ্ঠান ‘হৃদয়ে মাটি ও মানুষ’ নিয়ে পিএইচডি গবেষণা করতে গিয়ে প্রাপ্ত অভিজ্ঞতা বিনিময় করেছেন তরুণ গবেষক শফিউল ইসলাম। এই অনুষ্ঠান বাংলাদেশের কৃষি এবং কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিকে কীভাবে পাল্টে দিচ্ছে সেটাই উঠে এসেছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপকের গবেষণায়।
‘মাটি ও মানুষে’র পরিকল্পনাকারী কৃষি উন্নয়ন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ, গবেষক আদিত্য শাহীন এবং চ্যানেল আই এর সংবাদকর্মীদের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন শফিউল।
কৃষি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখা এই অনুষ্ঠান নিয়ে প্রথমবারের কেউ গবেষণা করছেন। ‘হৃদয়ে মাটি ও মানুষ’ যে প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষকের জীবনমান পাল্টাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে সেটা উঠে এসেছে শফিউল ইসলামের এই গবেষণায়।
তার গবেষণার শিরোনাম করেছেন, ‘টেকসই কৃষি উন্নয়নে টেলিভিশনের ভূমিকা: পেক্ষাপট-‘হৃদয়ে মাটি ও মানুষ’। গবেষণা কাজটি শেষ পর্যায়ে। পিএইচডি গবেষণা তত্বাবধান করছেন অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান।
‘হৃদয়ে মাটি ও মানুষ’কে নিয়ে গবেষণার উদ্দেশ্য সম্পর্কে শফিউল ইসলাম চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘হৃদয়ে মাটি ও মানুষ’ অনুষ্ঠান কৃষকদের কৃষি তথ্যের চাহিদা কতটা পূরণ করেছে, প্রাপ্ত তথ্য কৃষকরা কতটা ব্যবহার করছে এবং সেই তথ্য ব্যবহার করে কৃষকের কি উপকার হয়েছে, কতটা লাভ পেয়েছে ও তাদের মধ্যে কি পরিবর্তন এসেছে সেটা জানার চেষ্টা করেছি।
গবেষণা কাজের জন্য দেশের অনেক জায়গায় গেছেন শফিউল ইসলাম। প্রত্যান্ত অঞ্চলের কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে তাদের অভিজ্ঞতা নিয়েছেন। এই অনুষ্ঠানের কাছে কৃষকদের আর কি কি চাহিদা রয়েছে সেটা জানার চেষ্টা করেছেন।
অনুষ্ঠান সম্পর্কে কৃষকদের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে শফিউল ইসলাম বলেন, এই প্রোগ্রাম কৃষকদের সনাতন চিন্তা এবং ধরন পদ্ধতি সম্পর্কে যে ধারণা ছিল সেটা থেকে বেরিয়ে আসতে সহায়তা করেছে।
পরিবর্তনের উদাহরণ দিতে গিয়ে অধ্যাপক শেখ শফিউল ইসলাম বলেন, অনেক কৃষক এখন নানা ধরণের কৃষি কাজে জড়িত হয়েছেন। তাদের আয়-উপার্জন বাড়ছে এবং জীবনযাপনে পরিবর্তন এসেছে। তারা এখন কৃষিতে আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করছেন এবং পরিবেশসম্মত কৃষিকাজে আগ্রহী হয়েছেন। কৃষক তার পরিবারের সদস্যদের শিক্ষা ও চিকিৎসার চাহিদা পূরণে সচেষ্ট হয়েছেন।
অনুষ্ঠান পরিকল্পনাকারীর ব্যাপারে কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে বলে জানান গবেষক। বলেন, অনুষ্ঠান পরিকল্পনাকারীর ব্যাপারে তাদের আগ্রহ রয়েছে এবং মানুষ তার কথা ও তথ্যকে বিশ্বাসযোগ্য ও গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন। কারণ তিনি দাপ্তরিক তথ্য দিয়ে দায়িত্ব শেষ করেন না। বরং তাঁর অনুষ্ঠানে সফল কৃষকের উদাহরণ দিয়ে সবার সঙ্গে তথ্য বিনিময় করেন। যেটা প্রান্তিক কৃষকের কাছে অনেক বেশী গ্রহণযোগ্য হয়।