চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

হুট করেই একদিন ‘বিদায়’ বলবেন মাশরাফী

‘একদিন না একদিন যেতে হবে, এটা খুব স্বাভাবিক’

টেস্ট খেলেন না ২০০৯ সালের পর থেকে। ফর্মের তুঙ্গে থাকা অবস্থায় হঠাৎ করেই ছেড়েছেন টি-টুয়েন্টি। ওয়ানডে সংস্করণও হুট করেই ছাড়বেন বলে জানিয়ে রাখলেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা।

‘আমি আগেও অনেকবার বলেছি, আমি কখনোই আগে সিদ্ধান্ত নিয়ে কিছু করি না। এমনও হতে পারে পরের ম্যাচ বা তার পরের মাচ খেলে যদি দেখি ভালো লাগছে না, ছেড়ে দিতে পারি। আমি তাতক্ষণিক অনুভূতির উপর চলি এবং সব সিদ্ধান্ত নেই। ওইভাবে চিন্তা করি না।’

২০১৯ বিশ্বকাপ খেলে অবসরে যাবেন, এমন ঘোষণা দেননি মাশরাফী। তবে ওয়ানডে অধিনায়কের বিভিন্ন সময়ে বলা কথায় যা মিলছে, তাতে বিশ্বকাপের পর ক্রিকেট চালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপেই যদি ক্রিকেটকে বিদায়ের ঘোষণা দেন, তাহলে মঙ্গলবার হোম অব ক্রিকেটে মাশরাফী খেলে ফেললেন জীবনের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচটি।

মিরপুরে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে দর্শকদের মুখে মুখে রটেছে, শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে মাশরাফীর শেষ ম্যাচ! হার-জিত, প্রতিপক্ষ ছাপিয়ে সবার সবার চোখ ছিল মাশরাফীর দিকে। দর্শকদের মাঝে ছিল হাহাকার। অনেক দর্শকের চোখে ঝরেছে অশ্রুও।

গ্যালারির হাহাকারের খবর ম্যাচ শেষে জানানো হল মাশরাফীকে। আবেগ ছুঁয়ে গেল তাকেও, ‘খুবই স্বাভাবিক, আমরা তো এমনিতেও একটু আবেগী। অবশ্যই এই জিনিসগুলো(দর্শকদের কান্না) আমার হৃদয় ছুঁয়ে যায়। দেখলে আমারও খারাপ লাগবে, এটাই স্বাভাবিক। আমার সামনে ঘটলে আমার খারাপ লাগতো যে ওরা কান্নাকাটি করছে।’

‘এটাতে ভালোলাগা যেমন থাকে, খারাপ লাগাও থাকে। আমার তরফ থেকে তাদের জন্যও খারাপ লাগে। এটা একটা প্রক্রিয়া। একদিন না একদিন যেতে হবে, এটা খুব স্বাভাবিক। যেমন, বছরখানেক হয়েছে টি-টুয়েন্টি থেকে চলে গেছি। আর কিছুদিন হয়তো ওয়ানডে খেলব। কিন্তু মিরপুরে শেষ ম্যাচ কিনা বলা খুব কঠিন।’