প্রতীক বরাদ্দের পর উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হলেও দেশের বেশ কিছু জায়গায় সংঘাত সহিংসতায় ম্লান হয়েছে সেই প্রচার উৎসব।
দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলার ঘটনা ঘটেছে প্রার্থীদের ওপর, আবার কয়েক জায়গায় নিহতের ঘটনাও ঘটেছে। এর মধ্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গাড়ি বহরে হামলার অভিযোগও উঠেছে।
নোয়াখালিতে যুবলীগ কর্মী নিহত
নোয়াখালী সদর উপজেলার এওজবালিয়া ইউনিয়নের নুরু পাটোয়ারি হাটে বিএনপির সমর্থকদের হামলায় ও গুলিতে ৯ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো: হানিফ নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মো: হানিফ এওজবালিয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মফিজ উল্যাহর ছেলে।
এ বিষয়ে সন্ধ্যায় নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, পাকিস্তানি কায়দায় নারকীয়ভাবে আমার ওয়ার্ড যুবলীগকর্মী হানিফকে হত্যা করা হয়। প্রথমে তাকে ইট দিয়ে পিটিয়ে এবং কুপিয়ে আহত করে বিএনপির সন্ত্রাসীরা পরে তাকে গুলি করে হত্যা করে।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, নুরু পাটোয়ারির হাট এলাকায় বিএনপির একটি খণ্ড মিছিল থেকে হামলা চালানো হয়। লাশ ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
নির্বাচনী প্রচারণায় যাওয়ার পথে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গাড়িবহরে হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় ঢাকা থেকে ঠাকুরগাঁও নির্বাচনী প্রচারণায় যাওয়ার পথে বেগুনবাড়ী-খোচাবাড়ী এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। এই হামলায় গাড়িবহরে থাকা মির্জা ফখরুলের গাড়িসহ বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করেছে বেশ কয়েকজন হামলাকারী।চ্যানেল আই অনলাইনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইং এর সদস্য শায়রুল কবির খান।
তিনি বলেন: হামলার সময় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং তার সহধর্মিনী গাড়িতেই ছিলেন। তারা দুজনে অক্ষত থাকলেও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। ঘটনার পর পরই লন্ডন থেকে তারেক রহমান মহাসচিবের খোঁজ নিয়েছেন।
হামলাকারীরা স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী বলে অভিযোগ করেছেন বহরে থাকা ঠাকুরগাঁও ছাত্রদলের নেতা সোহেল রানা।
ফরিদপুরে আওয়ামী লীগ কর্মী নিহত
ফরিদপুর সদর উপজেলায় নির্বাচনী আলাপচারিতার একপর্যায়ে দুই ব্যক্তির মধ্যে মারামারির পর হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে এক আওয়ামী লীগ কর্মী নিহত হয়েছেন।
জানা গেছে, ওই দুই ব্যক্তি নির্বাচন নিয়ে আলাপচারিতার এক পর্যায়ে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। এসময় সদর উপজেলার গোলডাঙির চরের ইউসুফের হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। পরে হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।