ঈদ উপলক্ষে দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছ হিলি সীমান্তের চেকপোস্ট গেটের শূন্যরেখা ও ব্রিটিশ আমলে নির্মিত রেলস্টেশন। দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় যেন পরিণত হয়েছে মিলন মেলায়।
পরিবার পরিজনদের নিয়ে অনেকেই এসেছেন সীমান্ত এলাকা পরিদর্শনে। আবার কেউবা আসছেন ভারতে থাকা আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে দেখা করতে।
সীমান্ত দেখতে আসা সিরাজগঞ্জের টিমা ও রতন দম্পতি জানান, অনেক দিনের ইচ্ছে ছিলো দেশের ২য় বৃহত্তম স্থল বন্দর দেখার। আজ তা পূরণ হলো। খুব ভালো লাগলো।
ভারতে থাকা আত্মীয়ের সাথে দেখা করতে আসা নিরেন মোহন্ত জানান, দীর্ঘদিন পরে ভারতে থাকা আত্মীয়- স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে পেরে ও কথা বলতে পেরে দারুণ খুশি লাগছে।
হিলি পানামা পোর্ট লিংকের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক প্রতাপ জামান, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর হিলি। সেই সঙ্গে এখানে রয়েছে দেশের সবচেয়ে নিকটতম সীমান্তবর্তী এলাকা। এছাড়া আছে ব্রিটিশ আমলে নির্মিত হিলি রেলস্টেশন। এসবের সৌন্দর্য উপভোগ করতে এবং নিকটতম সীমান্তবর্তী এলাকা দেখতে দর্শনার্থীদের ভিড় বরাবরই থাকে। কিন্তু করোনার কারণে নানা বিধিনিষেধের ফলে গত দুই বছর দর্শনার্থীরা তেমন আসতে পারেননি। তবে এবার করোনা পরিস্থিতি ভালো হওয়ায় ঈদের নামাজের পরপরই সাধারণ মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। হিলি সীমান্তের চেকপোস্ট গেট এলাকা লোকারণ্য হয়ে ওঠে।
গণমাধ্যমকর্মী হালিম আল রাজী জানান, দূর-দূরান্ত থেকে বিভিন্ন যানবাহন নিয়ে হিলি সীমান্তে এসেছেন অনেকেই। তারা সবাই হিলি সীমান্তের চেকপোস্ট গেটের শূন্যরেখা এবং হিলি রেল স্টেশন এলাকা ঘুরে ঘুরে দেখছেন। আবার অনেকে ছবি তুলছেন।
হাকিমপুর পৌরসভার মেয়র জামিল হোসেন জানান, ঈদের দিন থেকেই হিলি স্থলবন্দর ও রেলস্টেশন দেখতে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় রয়েছে। সেই সাথে ভারত ও বাংলাদেশ উভয় দেশের আত্মীয় স্বজনরা একে অপরের সাথে দেখা করে কুশল বিনিময় করছেন। এ অবস্থা আরও চার থেকে পাঁচদিন থাকবে। দর্শনার্থীদের জন্য মিনি পার্ক স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে।