নিরাপদ সড়কের দাবিতে চলা আন্দোলনে সাংবাদিকদের উপর হামলাকারীদের সনাক্তে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন সাংবাদিকরা। স্পষ্ট ভিডিও ফুটেজ থাকার পরও এখনো হামলাকারীদের ধরতে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ না নেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।
মঙ্গলবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার সার্ক ফোয়ারায় ১০ মিনিট মানববন্ধন ও প্রতীকী কর্মবিরতি পালন করেন সাংবাদিকরা।
গত ২৯ জুলাই বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সংবাদ সংগ্রহের সময় কয়েকদিনে রাজধানীর বিভিন্নস্থানে কর্তব্যরত সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা হয়।
পুলিশের উপস্থিতিতে সশস্ত্র অবস্থায় মাথায় হেলমেট ও মুখ বেঁধে এসব হামলা চালিয়ে একদল যুবক বেশ কয়েকজন সাংবাদিকদকে রক্তাক্ত করেন।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে ক্রাইম রিপোর্টাস এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি পারভেজ খান বলেন, হামলাকারী সবাই চিহ্নিত হয়েছে। সরকার আন্তরিক হলে হামলাকারীরা আইনের আওতায় আসবে।
হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে সিনিয়র সাংবাদিক দীপু সারোয়ার বলেন: চলমান আন্দোলনের সময় আন্দোলনকারী, আন্দোলন বিরোধী এবং পুলিশ তিন পক্ষেই হামলা নির্যাতনের শিকার হয়েছে দায়িত্বরত সংবাদকর্মীদের।
‘সাংবাদিকরা কারো প্রতিপক্ষ নয়, তবুও কেন তাদের উপর এমন হামলা?’
এছাড়াও মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা থেকে বিশ্বব্যাপী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হ্যাশট্যাগ ক্যাম্পেইন ‘আই সে নো’ শুরুর ঘোষণাও দেন মানববন্ধনে অংশ নেওয়া সাংবাদিকরা।
সকল সাংবাদিক এবং সাংবাদিক নির্যাতনবিরোধীদের এ ক্যাম্পেইনে অংশ নিতে ভিডিওসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘ #I_Say_No ’ লিখে একাত্মতা প্রকাশের আহবান জানান তারা।
মানববন্ধনে অংশ নেন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক এবং অনলাইনের মাঠপর্যায়ে কর্মরত সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীরা। একাত্মতা প্রকাশ করেন সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সিনিয়র সাংবাদিকরা।