চট্টগ্রাম থেকে: টানা তিন ম্যাচ হেরে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার পর ঘুরে দাঁড়াল চিটাগং ভাইকিংস। বন্দরনগরীতে নিজেদের শেষ ম্যাচে সাকিব আল হাসানের ঢাকা ডায়নামাইটসকে ১১ রানে হারিয়ে সেরা চার নিশ্চিত করেছে মুশফিকুর রহিমের দল। হাফ ছেড়ে বাঁচার পর জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আসা দর্শকদের ল্যাপ অব অনার দিয়েছে দলটির সব খেলোয়াড় মিলে।
চিটাগং ভাইকিংসের সব ম্যাচেই গ্যালারিতে ছিল উপচেপড়া দর্শক উপস্থিতি। নিজেদের দল ঘিরে উচ্ছ্বাস-উন্মাদনার কমতি ছিল না চাটগাঁর ক্রিকেটপাগল মানুষের মাঝে। তাদের ধন্যবাদ জানাতে মুশফিকরা দলবদ্ধ হয়ে গ্যালারির পাশ ঘেঁষে হেঁটে বেড়ালেন করতালি দিতে দিতে। পুরো মাঠ প্রদক্ষিণ করেন মুশফিক, মোসাদ্দেক, ডেলপোর্টরা। তাতে গ্যালারিতে বয়ে যাচ্ছিল আনন্দের ফল্গুধারা।
মিরপুর ও সিলেট পর্বে প্রথম সাত ম্যাচের ছ’টিতেই জয় পাওয়া ভাইকিংস নিজেদের মাঠে খেলতে এসে শুরুতে দেখে মুদ্রার উল্টো পিঠ। টানা তিন ম্যাচ হারায় সেরা চার নিশ্চিত করতে অপেক্ষা করতে হয় চট্টগ্রাম পর্বের শেষ পর্যন্ত।
অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ম্যাচের সেরা হওয়া ক্যামেরুন ডেলপোর্ট জানালেন এই জয়টা তাদের কতটা স্বস্তি দিয়েছে। সাউথ আফ্রিকান এ ক্রিকেটার বলে গেলেন, ‘আজকে জেতায় আমরা হাফ ছেড়ে বেঁচেছি। তিন তিনটে ম্যাচ হেরে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে ঢাকার মতো দলকে হারানো আমাদের জন্য খুবই ইতিবাচক। জয়ের ধারা ধরে রাখতে চাই।’
‘আজকের ম্যাচে রাসেল ও সাকিবের উইকেট টার্নিং পয়েন্ট ছিল। তবে পোলার্ডের উইকেট আমাদের ম্যাচে ফিরিয়েছে। সাকিব অসাধারণ খেলেছে। তবে আমরা সময়মত তাদের সাজঘরে পাঠাতে পেরেছি।’
শুরুতে ডেলপোর্ট ( ৭১) ও মুশফিকের (৪৩) ব্যাটে ভর করে ১৭৪ রানের পুঁজি পায় চিটাগং। জবাব দিতে নেমে ২৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে ঢাকা। সোহানের সঙ্গে নিয়ে সাকিবের ৫০ রানের জুটিতে পরে ম্যাচে থাকে দলটি।
সোহান আউট হওয়ার পর কাইরেন পোলার্ড নেমে প্রথম বলেই হন রানআউট। তখন আবারও ব্যাকফুটে চলে যায় ঢাকা, সেখান থেকে অধিনায়ক সাকিব ও আন্দ্রে রাসেলের ব্যাটে দেখে জয়ের স্বপ্ন। তবে ৩৯ করে রাসেল ও ৫৩ করে সাকিব অল্প সময়ের ব্যবধানে আউট হয়ে গেলে আশা নিভে যায়। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে তারা তুলতে পারে ১৬৩ রান।