নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি: উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী আওয়ামী লীগে’র কয়েকটি গ্রুপের মধ্যে বিবাদমান সহিংসতার জের ধরে নিহত আওয়ামী লীগের এক কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার মেঘনা নদী থেকে নিহত বাহার সর্দারের গলা ও পেট কাটা অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
রোববার ভোরে তমরদ্দি ঘাট থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত বাহার সর্দার চরকিং ইউনিয়নের দক্ষিণ শুল্লকিয়া গ্রামের আলী আহমদের ছেলে। তিনি হাতিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর সমর্থক বলে জানিয়েছে পুলিশ।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মজিদ জানান, রোববার ভোরে মনপুরা ও হাতিয়ার মাঝামাঝি একটি চর থেকে অর্ধগলিত অবস্থায় বাহার সর্দারের মৃতদেহ দেখতে পায় পরিবারের সদস্যরা।
খবর পেয়ে তমরদ্দি ঘাট থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়।
উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী আওয়ামী লীগের বিবাদমান সহিংসতার জের ধরে ১৩ এপ্রিল দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১ জন নিহত ও ৪ জন আহত হয়। এসময় ২টি বাড়ীতে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়। ওই দিন সকালে চরকিং ইউনিয়নের মুরাদ মেম্বারের বাড়ীসহ দুইটি বাড়ীতে হামলা চালায় বিরোধীপক্ষ।
ঘটনার সময় প্রাণ রক্ষায় লোকজন দৌড়ে স্থানীয় ভৈরব বাজার এলাকায় অবস্থান নিলে হামলাকারীরা সেখানে উপস্থিত লোকজনের উপর হামলা চালায়। এসময় তারা বাহার সর্দার’কে হত্যা করে তার লাশ নদীতে ফেলে দেয়।
উপস্থিত অন্যরা নদীতে ঝাঁপিয়ে প্রাণে রক্ষা পায়। এরপর হামলাকারীরা ৬নং ওয়ার্ডের তাহের মেম্বারের বাড়ীতে হামলা চালায়। এসময় স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাঁধে। এতে নূরুল আলম (৩০) নামে এক হামলাকারী নিহত হয়।