হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফীর নামাজে জানাজা দুপুর ২টায় হাটহাজারী মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
জানাজা শেষে হাটহাজারী মাদ্রাসা ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে বায়তুল আতিক জামে মসজিদের সামনের কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাটহাজারী মাদ্রাসা শুরা কমিটি।
আহমদ শফীর ছেলে আনাস মাদানি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আল্লামা আহমদ শফীর বিশ্বাস ছিল, জানাজা একটা হওয়াই উত্তম। সেই হিসেবে আমরা একটি জানাজার পক্ষে। চট্টগ্রামে জানাজা সম্পন্ন করে মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে দাফন করা হবে।
এসব বিষয় নিশ্চিত করে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘শুরা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হাটহাজারী মাদ্রাসা সংলগ্ন কবরস্থানে দাফন করা হবে আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে। এ লক্ষ্যে মাদ্রাসার শুরা কমিটি ও প্রশাসন বিস্তারিত পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।’
শনিবার ফজর নামাজের পর থেকে জোহর পর্যন্ত হাটহাজারী মাদ্রাসার কনযুদ্দাকায়েক শ্রেণিকক্ষে তার মরদেহ সকলের দেখার জন্য রাখা হয়েছে।
এলাকা জুড়ে আইনশৃংখলা বাহিনীর তৎপরতা
আহমদ শফীর জানাজায় যোগ দিতে আসা জনসাধারণের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে হাটহাজারী বাস স্টেশন থেকে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে আইনশৃংখলা বাহিনী।
এছাড়া যে কোনো পরিস্থিতি এড়াতে পুরো এলাকাজুড়ে বাড়ানো হয়েছে আইনশৃংখলা বাহিনীর তৎপরতা। মোতায়েন করা হয়েছে র্যাব ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের। ১০ প্লাটুন বিজিবি সদস্য আছেন হাটহাজারী, পটিয়া, রাঙ্গুনিয়া ও ফটিকছড়িতে। এছাড়া ৪ উপজেলায় দায়িত্ব পালন করছেন ৭জন ম্যাজিস্ট্রেট।
শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে থাকা আল্লামা শফীকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে শুক্রবার সন্ধ্যার আগে ঢাকায় এনে আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানেই তিনি ইন্তেকাল করেন।
আহমদ শফীর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়াও হেফাজত ইসলামের আমীরের মৃত্যুতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীসহ বিশিষ্টজনেরা শোক জানিয়েছেন।
প্রায় শতবর্ষী আহমদ শফী দীর্ঘদিন যাবৎ তিনি বার্ধক্যজনিত দুর্বলতার পাশাপাশি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন।