চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

‘হাজী সেলিমের সংসদ সদস্য পদে থাকার যোগ্যতা নেই’

দুদক আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের ১০ বছরের কারদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা বহাল রেখে হাইকোর্টের দেয়া রায় বিচারিক আদালতে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার সকালে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে রায়ের নথি ঢাকার বিচারিক আদালতে পাঠানো হয় বলে জানান দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

এই আইনজীবী বলেন, ‘আইন অনুযায়ী আজকের দিন থেকে ৩০ দিনের মধ্যে হাজী মো. সেলিমকে রায় বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে। আর হাইকোর্টের এই রায়ের ফলে তার সংসদ সদস্য পদে থাকার যোগ্যতা নেই।’

হাজী মো. সেলিমকে ১০ বছরের কারদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানার রায় বহাল রাখেন বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

আদালত তার রায়ে জরিমানার টাকা অনাদায়ে হাজী মো. সেলিমকে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন এবং রায় পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেন। আত্মসমর্পণ না করলে জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করতে রায়ে নির্দেশ দেয়া হয়।

এছাড়াও এই মামলায় হাজী সেলিমের জব্দ কৃত সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করতে বলা হয়। তবে সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে একই মামলায় বিচারিক আদালতের দেয় ৩ বছরের কারাদণ্ড থেকে হাজী সেলিমকে খালাস দেন হাইকোর্ট।

হাইকোর্টে হাজী সেলিমের পক্ষে শুনানি করেন আব্দুল বাসেত মজুমদার ও আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো: আসাদুজ্জামান মনির​।

জরুরি অবস্থার সময় ২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল বিচারিক আদালতের রায়ে তাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

পরে ২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর হাজী সেলিম এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট ১৩ বছরের সাজা বাতিল করে রায় দেয়।

হাইকোর্টের কোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করে দুদক। সে আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায় বাতিল হয়ে যায়। সেই সঙ্গে হাজী সেলিমের আপিল পুনরায় হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

এরপর শুনানি শেষে রায় দেন হাইকোর্ট।