করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দেশের পর্যটন স্পটগুলো পুরোপুরি না খুললেও হাওর অঞ্চলে বেশ কিছুদিন ধরেই দুর্ঘটনার খবর আসছে। বুধবার যে খবর পাওয়া গেল, তা মর্মান্তিক। হাওরে ঘুরতে গিয়ে নৌকাডুবিতে ১৭ জন মারা গেছেন।
চ্যানেল আই অনলাইনের প্রতিবেদনে জানা যায়, নেত্রকোনার মদন উপজেলায় উচিতপুরের হাওরে ঘুরতে এসে নৌকাডুবিতে ১৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে আরও চারজন। বুধবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে মদনের উচিতপুরের সামনের হাওর গোবিন্দশ্রী রাজালীকান্দা নামক স্থানে এ নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, বুধবার সকালে ময়মনসিংহ সদর থানার ৫নং চরশিরতা ইউনিয়ন ও আটপাড়া তেলিগাতী থেকে ৪৮ জন ঘুরতে মিনি কক্সবাজার উচিতপুরে আসে। পরে হাওরের উত্তাল ঢেউয়ে গোবিন্দশ্রী রাজালীকান্দা নামক স্থানে নৌকাটি ডুবে যায়। এতে ১৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
একসঙ্গে এত প্রাণ ঝড়ে যাওয়া মর্মান্তিক। আর সেটা যদি নিজেদের অসচেতনতার কারণে হয়, তবে তা পীড়াদায়ক। করোনা পরিস্থিতিতে সেখানে নজরদারি আরও বাড়াতে হবে বলে আমরা মনে করি।
এর আগে গত মাসে কিশোরগঞ্জের হাওর এলাকায় একাধিক দুর্ঘটনায় পর্যটকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে নিকলী ও বাজিতপুর উপজেলার হাওর পর্যটন এলাকায় সাঁতার কাটতে গিয়ে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। বাজিতপুরের হাওরে নৌ-দুর্ঘটনায় অপর এক পর্যটকের সলিল সমাধি হয়েছে।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সীমিত পরিসরে সবকিছু চলছে। বিশ্বের সব দেশে পর্যটন স্পটগুলো এখনও বেশিরভাগই বন্ধ। সেখানে হাওর এলাকায় ঘুরতে গিয়ে এমন দুর্ঘটনা অনাকাঙ্খিত। এছাড়া সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি না মানাও দুঃখজনক। এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের নজরদারি বাড়াতে হবে। সবাইকে সচেতন হতে হবে। নয়তো এমন দুর্ঘটনা আরও বাড়বে বলেই আমাদের শঙ্কা। একইসঙ্গে হাওরে দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় আমরা গভীর শোক প্রকাশ করছি।