চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

হলি আর্টিজান: কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন হাসনাত করিম

গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার মামলায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিম মুক্তি পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান।

কাশিমপুর কারাগারের হাই সিকিউরিটি সেলের সিনিয়র জেল সুপার মো. শাহজাহান আহমেদ চ্যানেল আই অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন: বুধবার রাতে আদালত থেকে হাসনাত করিমের মুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কারাগারে আসে। বুধবার আমরা কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করি। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়।

তিনি আরও জানান: কারাগার থেকে বের হয়েই হাসনাত করিম একটি কালো জিপে করে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঢাকার পথে রওনা হন। সেসময় তিনি কারো সঙ্গেই কথা বলেননি।

গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে ২০১৬’র পয়লা জুলাই রাতভর জিম্মি করে রেখে জঙ্গিরা দুই পুলিশ কর্মকর্তা এবং ৯ ইতালীয়, ৭ জাপানি, এক ভারতীয় এবং এক মার্কিন নাগরিককে হত্যা করে।

জঙ্গি হামলার পরদিন সকালে উদ্ধারকৃত জিম্মিদের মধ্যে রহস্যজনক আচরণের কারণে হাসনাত করিমকে গোয়েন্দা কার্যালয়ে নেওয়া হয়। ঘটনার কয়েকদিন পর হাসনাতকে ছেড়ে দেওয়ার কথা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হলেও তাকে আর ছাড়া হয়নি।

একজন কোরিয়ান নাগরিকের গোপনে ধারণ করা ভিডিও প্রকাশিত হওয়ার পর হাসনাত করিমের ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা চলতে থাকে। ঢাকার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই শিক্ষকের নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল বলেও অভিযোগ ওঠে।

গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ওই বছরের ৩ আগস্ট তাকে ৫৪ ধারায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়। ৪ আগস্ট প্রথম দফায় হাসনাতের আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ১৩ আগস্ট গুলশান হামলার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

তবে গ্রেপ্তার হওয়া হাসনাত করিমকে বাদ দিয়ে ৮ জনকে অভিযুক্ত করে গত ২৩ জুলাই ঢাকার সিএমএম আদালতে চার্জশিট দিয়েছে কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট।