পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফাখরিজাদেহ হত্যাকাণ্ডের জন্য ফের ইসরায়েলকে দায়ী করেছে ইরান। তারা বলছেন, রিমোট কন্ট্রোল প্রযুক্তির মাধ্যমে দূর থেকে এ হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে ইসরায়েল। ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের প্রধান আলী শামখানি আরও বলেন, কোনও অপরাধী ঘটনাস্থলে ছিল না।
মার্কিন দৈনিক ‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একজন শীর্ষ ইসরায়েলি কর্মকর্তা এ হত্যায় ইসরায়েলের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। কর্মকর্তা ফাখরিজাদেহের গতিবিধি অনুসরণের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এর মাধ্যমে ইঙ্গিত পাওয়া যায়, তিনি ইসরায়েলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদ সংশ্লিষ্ট কেউ।
হলিউড স্টাইলের এই হত্যাকাণ্ড অনেকটাই মিলে যায় ‘দ্য জ্যাকেল’ ছবির সাথে। বিষয়টি কাকতালীয় নাকি এই সিনেমা থেকে অনুপ্রেরণা নেয়া হয়েছে তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
এবছরের জুলাইতে ইসরায়েলের একটি প্রতিষ্ঠান দাবী করেছে তারা একটি ম্যান-পোর্টেবল অস্ত্র তৈরি করেছে যেটা কোনো লক্ষ্য স্থির করে আক্রমণ করতে পারে। ওয়্যারলেস প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় এই অস্ত্রে যা চালনা করা হয় ট্যাবলেটের মতো একটি রিমোট অপারেটেড ডিভাইসের মাধ্যমে।
আলী শামখানির মতে মোহসেন ফাখরিজাদেহকে ইরানের তরফ থেকে সব ধরনের নিরাপত্তা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সম্পূর্ণ নতুন এই প্রযুক্তির সাথে তারা পরিচিত ছিলেন না বলে এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে।
একই দৃশ্য ছিল ১৯৯৭ সালের ‘দ্য জ্যাকেল’-এ। আক্রমণকারীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ব্রুস উইলিস। মিনি ভ্যানে বসে থাকা আমেরিকার ফার্স্ট লেডিকে রিমোট-কন্ট্রোলড ডিভাইসের মাধ্যমে ভারী মেশিনগানের সাহায্যে হত্যা করতে দেখা গিয়েছিল তাকে।
ফাখরিজাদেহকে হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণের অঙ্গীকার করেছে ইরান।
ইরানের ‘বোমার জনক’ ফাখরিজাদেহকে দেশটির গোপন পারমাণবিক কর্মসূচির মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে ভাবা হয়। -ইউরোএশিয়ান টাইমস