র্যাবের অভিযানের পরও বন্ধ হয়নি বেশি দামে হজের টিকিট বিক্রি। হাবের সাবেক সভাপতি ইব্রাহিম বাহার বলেছেন, অভিযানের অনেক আগেই কালোবাজারিরা বেশী দামে সিংহভাগ টিকিট বিক্রি করে ফেলেছিল, যে কারণে এর কোনো সুফল পাওয়া যাচ্ছে না।
এজন্য সাউদি এরাবিয়ান এয়ারলাইন্সকে দায়ী করেন সাবেক এই হাব নেতা। তিনি বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত অমান্য করে নিষিদ্ধ ট্রাভেল এজেন্সির কাছে টিকিট বিক্রি করেছে সাউদিয়া।
র্যাবের বিশেষ অভিযানে বেশি দামে হজের টিকিট বিক্রি করার দায়ে মঙ্গলবার হাসেম এয়ার, চ্যালেঞ্জার ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস লি:, গোল্ডেন বেঙ্গল ট্যুরস্ এন্ড ট্রাভেলস, সানসাইন এক্সপ্রেস, আলগাজী ট্রাভেলস লি: ও শাহজালাল ট্রাভেলসকে ৬৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। অনাদায়ে কারাদণ্ড দেয়া হয় ২৪ জনকে। তবে অভিযানের ৩ দিন পরেও বন্ধ হয়নি বেশি দামে টিকিটি বিক্রি। সবই আগের মতোই চলছে কঠোর গোপনীয়তার আড়ালে।
হাবের বর্তমান সভাপতির মতোই সাবেক সভাপতিও এই অবস্থার জন্য সরাসরি সাউদিয়াকে দায়ী করেছেন।
হজ এজেন্টদের সাবেক এই নেতার কথার সত্যতা পাওয়া গেল সরেজমিনে। বিভিন্ন অপরাধে বাতিল হওয়া আবাবিল ট্রাভেলস অ্যান্ড টুরস এর মাধ্যমে টিকিট বিক্রি করেছে সাউদিয়া।
এ বছরের ২৩ মে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে আবাবিলের নিবন্ধন বাতিল করা হয়। আদালতে আপিল করেও নিবন্ধন ফেরত পায়নি প্রতিষ্ঠানটি।
তারপরও কেন অবৈধভাবে টিকিট বিক্রি করছে এর কোন সদুত্তর দিতে পারেননি আবাবিল ট্রাভেলস অ্যান্ড টুরস এর মালিক আবূ ইউসুফ।
বিমান মন্ত্রণালয় বলছে, এসব অনিয়ম ও দুর্নীতি দূর করতে শিগগিরই মাঠে নামছে তারা।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: