ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে নির্মিত স্পিড ব্রেকার নিজ উদ্যোগে রং করেছে স্থানীয় একদল তরুণ।
শুক্রবার দিবাগত রাতে শহরের মহিলা কলেজ মোড়ের স্পিড ব্রেকার রং করে সাংকেতিক চিহ্ন তৈরি করেছেন তারা।
জানা গেছে, মহিলা কলেজ মোড়ের স্পিড ব্রেকারে দীর্ঘদিন কোনো রং বা সাংকেতিক চিহ্ন না থাকায় প্রায়ই ছোট-বড় সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। স্পিড ব্রেকারগুলোতে রং ও সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করার কারণে এখন মোটরসাইকেল, ইজিবাইক ও অন্যান্য যানবাহন চলাচলে অনেক সুবিধা হয়েছে।
রায়গ্রাম ইউনিয়ন থেকে প্রতিদিন কালীগঞ্জ শহরে যাতায়াত করা মৎস্য ব্যবসায়ী কবির হোসেন। তিনি এ মহৎ কাজের জন্য তরুণদের সাধুবাদ জানান।
এই কাজে অংশগ্রহণকারী যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী টিপু আহমেদ বলেন, এই স্পিড ব্রেকারে দীর্ঘদিন কোনো রঙ না থাকায় প্রায়ই ছোট-বড় সড়ক দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যেত। আমাদের এ ক্ষুদ্র উদ্যোগের কারণে যদি কিছুটা দুর্ঘটনা রোধ করা যায় তাতেই আমরা সার্থক।
রং এর কাজে অংশ নেওয়া সরকারি তিতুমীর কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী শেখ সুমন জানান, সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই দুর্ঘটনা প্রতিরোধে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। শুধু স্পিড ব্রেকারগুলোতে রং করলেই দুর্ঘটনা কমবে না। নিয়ন্ত্রিত গতিতে গাড়ি চালালে দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব। এজন্য তিনি সচেতনতা বৃদ্ধিসহ নিয়ন্ত্রিত গতিতে গাড়ি চালাতে যুব সমাজের প্রতি আহ্বান জানান। সামাজিক বিভিন্ন সমস্যা নিরসনে এভাবে যুবক ও তরুণরা এগিয়ে আসলে অনেক সমস্যারই সমাধান সম্ভব বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এই কাজে অংশগ্রহণ করেন রকি, সুমন রাইহান, টিপু, বোরহান, আসিফ, আব্দুল্লাহসহ আরও অনেকে। আর এই কাজের জন্য ব্যয়কৃত অর্থ তারা নিজেরাই বহন করেছে বলে জানায়। তবে এই ধরনের ভাল কাজে এলাকাবাসী তাদের পাশে আছে বলেও জানান তরুণরা।
ইজিবাইক চালক রহমত মিয়া বলেন, ‘এ রাস্তা সংস্কার ও গতিরোধকে রং করায় আমাদের সবার জন্য অনেক ভালো হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, তরুণদের এটি একটি মহৎ কাজ।
সাম্প্রতি একই সড়কে স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তার বেশকিছু ভাঙাচোরা ছোট বড় গর্ত সংস্কার করে তারা। তরুণদের এই ধরনের কার্যক্রমের প্রশংসা করেছেন এলাকাবাসী।