চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

সড়কে মৃত্যুর মিছিল থামবে কবে?

সড়ক দুর্ঘটনা শূন্যের কোটায় আনার নির্দেশনা থাকলেও সেটা সম্ভব হচ্ছে না। আজও (শনিবার) একদিনে সড়কে বহু প্রাণ ঝরে যাওয়ার খবর এসেছে। এরমধ্যে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ, নরসিংদীর ঘোড়াশাল এবং পটুয়াখালীর দুমকিতে মোট ৮ জন মারা গেছেন।

চ্যানেল আই অনলাইনের প্রতিবেদনে জানা যায়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার উলুকান্দি এলাকায় দু’টি বাস ও একটি ট্রাকের ত্রিমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই ৪ জন মারা গেছেন। এ ঘটনায় কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। মহাসড়কের উলুকান্দি এলাকায় হাইওয়ে পুলিশ একটি মালবোঝাই ট্রাককে ধাওয়া করলে ট্রাকটি দ্রুত চালিয়ে যাওয়ার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা যাত্রীবাহী বাসের সাথে সংঘর্ষ বাঁধে। সেই সময় পেছন দিক থেকে আসা আরেকটি বাস দুর্ঘটনা কবলিত বাসটিকে ধাক্কা দেয়।

এছাড়া নরসিংদীর পলাশের ঘোড়াশালে একটি অরক্ষিত রেল ক্রসিং পারাপারের সময় ট্রেনের ধাক্কায় প্রাইভেটকারের যাত্রী ইউসুফ আলী (৩০) নামে ১ জন নিহত ও ৫ জন আহত হয়েছেন। এখানে ঘোড়াশাল পৌরসভার অধীনে কবির ও রতন নামে দু’জন গেটম্যান দায়িত্বে থাকলেও রাতে কেউ ছিল না। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সে তার মোবাইল ফোন বন্ধ করে পালিয়ে যায়।

অন্যদিকে পটুয়াখালীর দুমকিতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষের পর ট্রাকচাপায় ৩ জন নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত ২ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার সকালে দুমকি উপজেলার বোর্ড বাজার এলাকায় বাউফল সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন: বায়জিদ, হিরা হাওলাদার ও দেলোয়ার হোসেন।

এসব দুর্ঘটনা ছাড়াও প্রতিনিয়ত বহু প্রাণ ঝরে যায় রাস্তায়। সেসবের খবর সংবাদমাধ্যমে উঠে আসে না। সেজন্য রোজকার পরিস্থিতি যে আরও ভয়াবহ তা নির্দ্বিধায় বলা যায়। এক্ষেত্রে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের একটি প্রতিবেদন উল্লেখযোগ্য। সংবাদমাধ্যমের খবর বিশ্লেষণ করে তারা বলছে: গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি দুই মাসে দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ১০১২ জন মারা গেছেন। এসময় হওয়া ৮৪৮টি সড়ক দুর্ঘনায় আহত হয়েছেন ১১৪৬ জন। নিহতের মধ্যে নারী ১৪৩ এবং শিশু ১৩০।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বয়ং এসব দুর্ঘটনা বন্ধে বহু আগেই নির্দেশনা দিয়েছেন। এমনকি এ বিষয়ক আইনও করা হয়েছে। এরপরও থামানো যাচ্ছে না সড়কে মৃত্যুর মিছিল। এ নিয়ে যে কাজ একেবারেই হচ্ছে না, তা নয়। তবে সেই কাজ পর্যাপ্ত নয়। এজন্য সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে নিয়মকানুন বাস্তবায়নে কঠোর হতে আমরা সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।