বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে পৌঁছেছেন। স্লোগান ও করতালির মধ্যে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে তিনি সেখানে পৌঁছান। কিছুক্ষণের মধ্যে তার ভাষণ দেয়ার কথা রয়েছে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশে ডিএমপির পক্ষ থেকে ২৩টি শর্তের মধ্যে ছিলো মিছিলসহ সমাবেশে আসা যাবে না। কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞার পরও বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে মিছিলে মিছিলে সমাবেশে উপস্থিত হচ্ছেন।
রোববার সকাল ৮টা থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে মাইকের আওয়াজ ভেসে আসে। যদিও সমাবেশস্থলের বাইরে মাইক টাঙানো যায়নি। তবে মাইকের আওয়াজ উদ্যানের বাইরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে শুরু করে আশপাশের এলাকায় পর্যন্ত শোনা যাচ্ছে।
সকাল ৯টার পর থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল আসতে থাকে সমাবেশস্থলে। রমনা পার্কের দিকের দুটি গেট দিয়ে প্রবেশ করতে থাকে বিভিন্ন স্লোগান নিয়ে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের মিছিলে আগত নেতা কামরুল ইসলাম বলেন: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতরে মিছিলে বাধা নেই। আমরা রাস্তায় মিছিল করিনি। ভেতরে ঢুকার পর মিছিল করেছি।
ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের নেতা আরিফুর রহমান মিছিল নিষিদ্ধের শর্তকে উড়িয়ে দিয়ে বলেন: স্বৈরাচারী সরকারের কোন শর্ত মানতে বাধ্য নই আমরা। মিছিল-স্লোগান করা আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। আমাদের অধিকার কেউ কেড়ে নিতে পারবে না।
এর আগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জে সকল প্রকারের গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। একইসঙ্গে ঢাকা-মাওয়া সড়কেও বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলেও বিএনপির অভিযোগ।
দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন: আমরা সকাল থেকেই খবর পাচ্ছি সরকারি দলের নেতারা বিভিন্ন দিকে রাস্তাঘাট বন্ধ করে দিয়েছেন। আমাদের নেতাকর্মীরা যাতে সমাবেশে যোগ দিতে না পারেন এজন্য মহাসড়ক বন্ধ করা হয়েছে।
মির্জা ফখরুলের অভিযোগ: সমাবেশকে বাধাগ্রস্থ করতেই এমন করা হচ্ছে।