যুক্তরাষ্ট্রের স্যান ফ্রান্সিসকো শহরের প্রথম নারী কৃষ্ণাঙ্গ মেয়র হিসেবে ইতিহাসে নাম লেখাতে যাচ্ছেন লন্ডন ব্রিড।
শহরটিতে দিন দিন আফ্রিকান-আমেরিকানদের সংখ্যা কমতে থাকলেও এর মাঝে লন্ডনের মেয়র হওয়াটা ইতিহাসের মাঝে আরেকটি ইতিহাস বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বিবিসি জানায়, ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার সপ্তাহখানেক পর লন্ডনের প্রতিপক্ষ মার্ক লেনো পরাজয় স্বীকার করে নেন। ভোট গণনার পর দেখা যায়, ৪৩ বছর বয়সী লন্ডন ভোট পেয়েছেন ৫০ শতাংশের সামান্য বেশি। এরপরই বিজয়ী ঘোষণা করা হয় তাকে।
ভোটে জিতলে মার্ক লেনো হতেন স্যান ফ্রান্সিসকোর প্রথম সমকামী মেয়র।
লন্ডন ব্রিড বড় হয়েছেন দরিদ্র পরিবারে। সরকারি হাউজিংয়ে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন তিনি। সেই লন্ডনই যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম ১৫ শহরের মধ্যে একমাত্র নারী মেয়র হিসেবে জায়গা করে নিলেন।
লন্ডন স্যান ফ্রান্সিসকো শহরের সরকারি আইনি সংগঠন স্যান ফ্রান্সিসকো বোর্ড অব সুপারভাইজারস-এর সাবেক প্রেসিডেন্ট। গত ডিসেম্বরে মেয়র এড লি’র মৃত্যুর পর থেকে তিনি নির্বাচনে দাঁড়ানোর আগ পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
নির্বাচন ৫ জুন অনুষ্ঠিত হলেও প্রার্থীদের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের কারণে ফল ঘোষণা করতে দেরি হয়েছে। দুই প্রার্থীর পাওয়া ভোটের পার্থক্য খুব কম হওয়ার কারণে নির্বাচন কর্মকর্তাদের কয়েক হাজার প্রভিশনাল ব্যালটও গুনতে হয়েছে একে একে।
লন্ডন ব্রিডই স্যান ফ্রান্সিসকোর প্রথম নারী মেয়র নন। এর আগে ১৯৭৮ সালে ডায়ান ফাইনস্টাইন শহরটির মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি এখন ক্যালিফোর্নিয়ার একজন সিনেটর।
তবে এবারের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে লন্ডন হয়ে উঠলেন যুক্তরাষ্ট্রের ১৯ নারী কৃষ্ণাঙ্গ মেয়রের একজন।