স্মার্টফোন, ট্যাবলেট পিসি এবং কম্পিউটারের মতো গ্যাজেট বাড়ন্ত শিশুদের জন্য ক্ষতিকর – এতোদিন এমন কথা বলে এলেও সেই সিদ্ধান্ত পাল্টেছে আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব পিডিয়াট্রিকস (এএপি)। সম্প্রতি পরিচালিত একটি গবেষণার উপর ভিত্তি করে সংস্থাটি নতুন এ কথা বলছে।
এএপি’র তত্ত্বাবধানে গত মে মাসে পরিচালনা করেন বেশ কয়েকজন শিক্ষক, শিশু বিশেষজ্ঞ, স্নায়ু বিশেষজ্ঞ এবং গণমাধ্যম বিষয়ক গবেষক মিলে ওই গবেষণা পরিচালনা করেন। গবেষণার ফলাফল ‘গ্রোয়িং আপ ডিজিটাল: মিডিয়া রিসার্চ সিম্পোজিয়াম’ নামক একটি অনুষ্ঠানে উপস্থাপন করা হয়।
গবেষণায় দেখা যায়, বাড়ন্ত শিশুদের যদি স্মার্টফোন, কম্পিউটার, আইপ্যাড., ট্যাবলেটের মতো স্মার্ট ডিভাইস নিয়ন্ত্রিত হারে এবং পরিমিত পরিমাণে ব্যবহার করতে দেওয়া হয়, তবে তা ক্ষতির বদলে উপকার করে এবং শিশুর চিন্তাশক্তি ও যুক্তি বোঝার ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। তবে তা অবশ্যই হবে অভিভাবকের তত্ত্বাবধানে।
এছাড়াও স্মার্ট গ্যাজেটের অতিরিক্ত ব্যবহার শিশুর শারীরিক ও মানসিক ক্ষতির কারণ বলে গবেষণা রিপোর্টে জানানো হয়। ২০১৩ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিবন্ধে এএপি বলেছিলো, স্মার্টফোন ও ট্যাবলেটের মতো সরঞ্জাম ব্যবহার ২ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য ক্ষতিকর। বাচ্চাদের শোবার ঘরে যেনো টেলিভিশন বা কোনো ইন্টারনেট সংযোগসহ ইলেকট্রনিক ডিভাইস না রাখা হয়, সে ব্যাপারে বাবা-মায়েদের পরামর্শ দেওয়া হয় নিবন্ধটিতে।
সে সময় গবেষণাটি প্রকাশের পর বিশ্বজুড়ে হইচই পড়ে যায়। শিশুদের ওপর ফোন বা ট্যাবলেট জাতীয় গ্যাজেট, টেলিভিশন, কম্পিউটার এবং ইন্টারনেটের ভয়াবহ প্রভাব নিয়ে অসংখ্য তথ্যভিত্তিক এবং সচেতনতামূলক রিপোর্ট প্রকাশিত হতে থাকে গণমাধ্যমগুলোতে। বলা হয় শিশুদের জন্য এসব ডিভাইসে যেসব বুদ্ধির খেলা থাকে সেসবও ক্ষতিকর।
তবে নতুন গবেষণা রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার পর এসব গ্যাজেট বিষয়ে নিজেদের অবস্থান কিছুটা শিথিল করেছে এএপি।