বাজারে ধানের কম দাম ও শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধির কারণে দরিদ্র কৃষকের পাকা ধান স্বেচ্ছায় কেটে দিচ্ছেন শেরপুরের একদল তরুণ।
সদর উপজেলার চরমোচারিয়া ইউনিয়নের মুন্সিরচর গ্রামের একটি ক্রীড়াচক্রের উদ্যোগে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে এ ধান কাটা কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে।
স্থানীয় দরিদ্র কৃষক, যাদের ধান এরইমধ্যে পেকে গেছে কিন্তু শ্রমিকের চড়ামূল্যের কারণে ক্ষেতের ধান কাটতে পারছেন না, তাদের ধান কেটে দিয়েছেন এ অঞ্চলেরই ওই ছাত্র ও তরুণরা।
স্থানীয় হোসাইন মারুফ ত্রীড়াচক্রের উদ্যোগে এলাকার অর্ধশত ছাত্র ও তরুণ মিলে কৃষকের প্রায় ৫০ বিঘা জমির ধান কেটে দেন।
শুধু এলাকার ছাত্রই নয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক ড. আবদুল্লাহ্ আল মামুন চৌধুরিও ছুটে আসেন স্বেচ্ছাশ্রমে ধান কাটার কর্মসূচিতে অংশ নিতে।
কর্মসূচির প্রথম দিন ৫০ বিঘা জমির ধান কাটা হলেও এর ধারাবাহিকতায় যতদিন জমিতে পাকা ধান রয়েছে ততদিন পর্যায়ক্রমে সব কৃষকের জমির ধান কাটা হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজনের উদ্যোক্তা হোসাইন মারুফ ক্রীড়াচক্র সভাপতি হোসাইন মারুফ।
স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ধান কেটে দেয়ায় খুশি এ অঞ্চলের কৃষকও।
স্বেচ্ছাশ্রমে ধান কাটা কর্মসূচিতে ভবিষ্যতে অব্যাহত রাখার বিষয়ে উদ্যোগ নেয়ার কথা জানিয়েছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও প্রতিবেদনে: