চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানালেন রাষ্ট্রপতি

করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

তিনি বলেন, ঈদের আনন্দঘন এদিনে আমি সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি।

আজ শুক্রবার ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি এ কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আমি দেশবাসী ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহকে জানাই ‌আন্তরিক শুভেচ্ছা। মাসব্যাপী সিয়াম পালন শেষে আমরা আজ ঈদুল ফিতর উদযাপন করছি। ঈদ মুসলমানদের জন্য সর্ববৃহৎ আনন্দ-উৎসব। ঈদে ধনী-দরিদ্র, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই একসঙ্গে আনন্দে মেতে ওঠে।

তিনি বলেন, ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে পড়ুক সবার মাঝে, সব স্থানে। কিন্তু এ বছর এমন একটা সময়ে ঈদ উদযাপিত হচ্ছে, যখন গোটা বিশ্ব করোনাভাইরাসের সংক্রমণে চরমভাবে বিপর্যস্ত। করোনার কারণে বাংলাদেশের জনগণের জীবন-জীবিকাও কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। জীবন বাঁচানো প্রথম অগ্রাধিকার হলেও জীবন বাঁচিয়ে রাখতে জীবিকার গুরুত্বও অনস্বীকার্য।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ইতোমধ্যে করোনায় বিশ্বব্যাপী সাড়ে ৩৩ লাখেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। কোটি কোটি মানুষ কাজ হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। অনির্দিষ্টকালের জন্য লকডাউন দিয়ে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা সম্ভব নয়। তাই জীবন-জীবিকাকে সচল রাখতে হলে আমাদের করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করেই এগিয়ে যেতে হবে।

আবদুল হামিদ বলেন, আতঙ্কিত না হয়ে করোনা নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে হবে। এজন্য দরকার দেশের প্রতিটি নাগরিককে পরিপূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা অর্থাৎ মাস্ক পরা, নিয়মিত হাত ধোয়া ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা। ঈদের আনন্দঘন এদিনে আমি সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানাই।

তিনি বলেন, করোনার টিকা প্রদান ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির বৈশ্বিক বিপর্যয়ের কারণে টিকা কার্যক্রমে সাময়িক সমস্যা হলেও সরকার সর্ব্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে টিকা সংগ্রহের জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। আমি আশা করি, এ সমস্যারও আশু সমাধান হবে, ইনশাল্লাহ।

বিত্তবানদের সমাজের দুস্থ ও হতদরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ঈদুল ফিতর আমাদের আত্মশুদ্ধি ও আত্মসংযমের শিক্ষা দেয়। আমাদের চারপাশে অনেক অসহায় ও বিপন্ন মানুষ রয়েছে। তারা যেন ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত না হয় সে ব্যাপারে সবাইকে সাধ্যমতো চেষ্টা চালাতে হবে।

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিরা অসচ্ছল ও অসহায় মানুষের সাহায্যে সামর্থ্য অনুযায়ী অবদান রাখবে। ঈদ সবার জন্য বয়ে আনুক অনাবিল সুখ আর আনন্দ।