করোনাভাইরাস প্রতিরোধে নাগরিকদের স্বাস্থ্যবিধি মানাতে রোববার থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবে প্রশাসন।
এজন্য স্থানীয় প্রশাসনকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় সহায়তা দেওয়ার জন্য সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আব্দুল জলিল স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
চিঠিতে বলা হয়: পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ডসহ জননিরাপত্তা বিভাগের আওতাধীন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রত্যেক সদস্যকে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জারি করা করোনাভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্য ও বিধিসমূহ কঠোরভাবে প্রতিপালন করা এবং মোবাইল কোর্ট আইন-২০০৯ অনুযায়ী সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন-২০১৮ অনুযায়ী মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে নির্দেশনা দিতে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
চিঠিতে আরও বলা হয়, সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন-২০১৮ অনুযায়ী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের জারি করা স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত নির্দেশনাগুলো দেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য প্রতিপালন ও অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক।
স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশনা অনুসরণ বা প্রতিপালন না করা উক্ত আইনের অধীনে দণ্ডনীয় অপরাধ। জননিরাপত্তা বিভাগের আওতাধীন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সকল সদস্যদের করোনাভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জারি করা স্বাস্থ্যবিধি যেমন সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার, সাবান পানি দিয়ে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধোয়া, দায়িত্ব পালনকালে এবং ঘর থেকে বের হলে মাস্ক পরিধান করাও সর্বসাধারণের জন্য বাধ্যতামূলকভাবে অনুসরণীয়।
চিঠিতে আরও বলা হয়, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের আবাসিক স্থাপনায় সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি পালনের লক্ষ্যে এক সদস্য থেকে অন্য সদস্যদের কমপক্ষে ৪ থেকে ৬ ফুট দূরত্ব বজায় রাখা, সাবান পানি দিয়ে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধোয়া, প্রয়োজনবোধে ৭০ শতাংশ অ্যালকোহল যুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণের জন্য স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শেষ হচ্ছে করোনাভাইরাসের কারণে সরকার ঘোষিত টানা ৬৬ দিনের ছুটি। এটিই দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে লম্বা ছুটি। এ ছুটির অবসানের ফলে ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত সরকারি নির্দেশনা সাপেক্ষে সীমিত পরিসরে সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলছে। একইসঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামছে গণপরিবহনও (বাস, লঞ্চ, ট্রেন)।