স্বাস্থ্যবিধি যথাযথ মেনে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ না করার কারণে বাংলাদেশে ভারতের করোনার উচ্চ সংক্রমণশীল ধরণটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
আইইডিসিআর এর সাবেক প্রধান এক বিজ্ঞানী বলেছেন, ঈদের আগে ফেরিঘাট, গণপরিবহন এবং শপিংমলের ভীড়ে করোনার ভারতীয় ধরণটি যোগ হলে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে।
আন্ত:জেলায় ফেরী বহন বন্ধ ও ফেরী ঘাটে বিজিবি মোতায়েনের পরও হাজার হাজার মানুষ নিজ এলাকায় ফিরতে পথে নেমেছেন। শপিংমলগুলোতে উপচে পড়া ভীড়ে সামাজিক দূরত্বসহ স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। এই অবস্থায় আগামী এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে করোনার সংক্রমণ বাড়বে বলেও সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
এই বিষয়ে আইইডিসিআর এর উপদেষ্টা ও সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মোসতাক হোসেন বলেন, আমাদের এখানে যদি সংক্রমণটা বাড়তে থাকে, তাহলে তা অনেক খারাপ পর্যায়ে যেতে পারে, যেভাবে আমরা মার্চ-এপ্রিলে দেখেছি।
তিনি বলেন, ভারতীয় ধরণটা শুরু হয়েছে কিন্তু অনিয়ন্ত্রিত অবস্থায় থাকার কারণে। আমাদের দেশেও যদি সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারি, তাহলে ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি করতে পারে। যেভাবে ঈদকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জায়গায় মানুষের ভীড় বাড়ছে, শপিংমল, গণপরিবহন এবং মসজিদে-এখানে কিন্তু সংক্রমণের পরিস্থিতিটা আগামী এক দুই সপ্তাহের মধ্যে অনেক বেশি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।
তিনি সতর্ক করে বলেন, করোনায় সংক্রমণ বাড়লে মৃত্যুও বাড়বে। তাই যাদের হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না তাদেরকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অন্তত টেলিমেডিসিনের আওতায় আনাসহ বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
ডা. মোসতাক হোসেন বলেন, আমাদের এখন তিনটি কাজে জোর দিতে হবে। প্রথমত যতো রোগী শনাক্ত হচ্ছে, যাদের হাসপাতালে যেতে হচ্ছে না, সেসব সংক্রমিত প্রত্যেককে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করে অন্তত টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে তাদের চিকিৎসার আওতায় আনতে হবে এবং আইসোলেশন নিশ্চিত করতে হবে। তাহলে সংক্রমণের ভয়াবহতা থেকে আমরা সুরক্ষিত থাকতে পারবো।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে করোনার ভারতীয় ধরণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব বলেও মনে করছেন তিনি।