বাংলাদেশ মাতৃমৃত্যু হার কমানোর ক্ষেত্রে বিশেষ সাফল্য অর্জন করেছে। নিরাপদ মাতৃত্ব দিবসে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন: স্বাস্থ্য খাতের সব শাখায় মনোযোগ ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির ফলে সামগ্রিকভাবে স্বাস্থ্য সূচকে বিস্ময়কর উন্নতি হয়েছে। বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়ন যাত্রায় স্বাস্থ্য একটি অন্যতম খাত। এই খাতেও সরকারের সাফল্যর মুকুটে যোগ হয়েছে অগ্রগতির পালক।
মাতৃস্বাস্থ্য সম্পর্কে জনগণের সচেতনতা তৈরিতে ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিবছর ২৮ মে ‘নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস’ পালনের ঘোষণা দেন। সেই থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও এই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। সরকারের নানামুখী পদক্ষেপের কারণে মাতৃ ও শিশু মৃত্যুও হার উভয়ই কমেছে। ২০১৭ সালে গর্ভকালীন মাতৃমৃত্যু হার প্রতি লাখে ১৭৬ জন থাকলেও বর্তমানে তা ১৭২ জন। এ ছাড়া ২০১৫ সালে প্রতি হাজার নবজাতকের মধ্যে মৃত্যুহার ২০ জন থাকলেও বর্তমানে তা হ্রাস পেয়ে ১৮ দশমিক ৪ ভাগে দাঁড়িয়েছে। দেশের ৫৯টি জেলা সদর হাসপাতাল, ৬৮টি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র এবং ১৩২টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সমন্বিত জরুরি প্রসূতি সেবা কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। ৩ হাজার মিডওয়াইফ তৈরির লক্ষ্যে মিডওয়াইফারি চালু করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ১ হাজার ৬০০ নার্স ৬ মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ শেষ করে সার্টিফায়েড মিডওয়াইফের সনদ পেয়েছেন। তারা সবাই উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কাজ করছেন।
সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় এই চিত্র দেশের সার্বিক উন্নতির অগ্রযাত্রাকেই তুলে ধরেছে। এই উন্নয়নের ধারাবহিকতা বজায় রাখতে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানের আন্তরিকতা বাড়াতে হবে। তবেই স্বাস্থ্যখাতের মত দেশের প্রতিটি খাতের উন্নয়নে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে।