স্বাভাবিক জীবনে ফেরার প্রত্যাশায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন সুন্দরবনের ‘জলদস্যু মানজু ও মজিদ বাহিনীর’ প্রধানসহ ২০জন জলদস্যু।
বুধবার দুপুরে পিরোজপুর শহরের স্টেডিয়াম মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন তারা। এ সময় দেশি-বিদেশি মোট ৩৩টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং এক হাজার ৩২৯টি গুলি জমা দেন জলদস্যুরা।
র্যাব ফোর্সেস সদর দফতর কুর্মিটোলা ঢাকার লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের বিশেষ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মনজু বাহিনীর ১১ জন ও মজিদ বাহিনীর ৯ জন জলদস্যু বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে র্যাবের কাছে আত্মসমপর্ণ করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন: খুন এবং ধর্ষণ ছাড়া যাদের বিরুদ্ধে অন্যান্য লঘু অভিযোগ রয়েছে, তাদের বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করা হবে। যারা বিপথে চলে গেছেন কিংবা পথ হারিয়েছেন কিংবা যারা অনুতপ্ত হয়েছেন, যারা জঙ্গিবাদে চলে গিয়েছেন, তবে পরে অনুতপ্ত হয়েছেন কিংবা যারা জলদস্যু হয়েছিলেন, বুঝতে পেরে অনুতপ্ত হয়েছেন, তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডাক দিয়েছেন। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে তারা সবাই ফিরে আসবে, চলে আসবে, স্বাভাবিক জীবনযাপন করে বাংলাদেশকে একটি শান্তিপূর্ণ দেশ বিনির্মাণে সহযোগিতা করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।আত্মসমর্পণকারী মনজু বাহিনীর ১১ জন হলেন- মনজু বাহিনীর মোঃ মনজু সর্দার, জুলফিকার ইজারদার, বাচ্চু মল্লিক, তৌহিদুর রহমান শেখ, মোঃ রেজাউল ইসলাম, পলাশ খাঁ, হুমায়ন ফকির, জামরুল শেখ, মজিব ইজারদার, হাওলাদার আলমগীর ও হানিফ শেখ। এ গ্রুপটি ১৯টি দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৮৫৩ রাউন্ড তাজা গুলি জমা দিয়েছে।
মজিদ বাহিনীর ৯ জন হলেন- মো: তাকবীর কাগজী, হাসান বিশ্বাস, আব্দুল মজিদ, মো: ইউনুচ শেখ, হাফিজুল ইসলাম, আফজাল খা, এসকেন খা, হাসান ইজারদার এবং মোসা ইজারদার।
গ্রেফতারকৃতরা সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলা, বাগেরহাট জেলা সদর ও রামপাল উপজেলা ও খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা।
জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৮-এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার হাসান ইমাম আল রাজিব। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আকরাম হোসেন প্রমুখ।