বাজারে মুড়ি কাটা পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। আর এতেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া দামে অনেকটা লাগাম টানা গেছে বলে মনে করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। স্মরণকালের ইতিহাসে পেঁয়াজের রেকর্ড দামে বেশ অস্বস্তির মধ্যে পড়তে হয়েছিল সরকারকে। সেই দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিদেশ থেকে উড়োজাহাজে করে পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়েছিল।
যদিও তা নিয়ে নানা বিতর্ক আছে। বাজার সংশ্লিষ্টরা দাবি করেছেন, উড়োজাহাজে পেঁয়াজ আমদানি করে বাড়তি দাম কমানো যায়নি। মূলত স্বাভাবিকভাবেই দাম কমেছে পেঁয়াজের। তাদের যুক্তি এই সময়টায় সারাদেশেই মুড়ি কাটা পেঁয়াজ বাজারে উঠে যায়। আর এ কারণেই কমেছে পেঁয়াজের দাম। তবে যেভাবেই হোক না কেন; দামটা কমেছে। আর এতেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারছে সাধারণ মানুষ।
বাজারে আসা মুড়ি কাটা পেঁয়াজ বর্তমানে মান ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকার মধ্যে। কমেছে আমদানি করা নানান জাতের পেঁয়াজের দামও। এই যখন বাজারের অবস্থা রোববার সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) কেজিপ্রতি ১০ টাকা কমিয়ে কাল থেকে ৩৫ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি করার ঘোষণা দিয়েছে। পেঁয়াজ সঙ্কট ঠেকাতে এতদিন ট্রাকে করে খোলা বাজারে ৪৫ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি করছিল টিসিবি।
সব মিলিয়ে সাধারণ মানুষের জন্য এটা সুখবরই বটে। আমরা জানি, গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত। তারপর থেকেই যেন পেঁয়াজের বাজারে আগুন লাগে। ব্যাপকভাবে দাম বাড়তে বাড়তে তা এক সময় আড়াই’শ টাকাও ছাড়িয়ে যায়। এ জন্য বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতার পাশাপাশি কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট বাণিজ্যের অভিযোগ উঠে। তবে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েও তখন দাম বাড়া ঠেকাতে পারেনি সরকার।
আমরা মনে করি, এক্ষেত্রে চাহিদা, উৎপাদন এবং আমদানির হিসাবে বড় ধরনের কারসাজি বা গোজামিল ছিল। সে কারণেই মূলত ওই সঙ্কট তৈরি হয়েছিল। তারই সুযোগ নিয়েছে অসাধু কিছু ব্যবসায়ী। তবে এই ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হবে। ভবিষ্যতে যেন সাধারণ মানুষ এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে না হয়, তার জন্য আগাম প্রস্তুতি নিতে হবে।