২০১৯-২০ অর্থ বছরের বাজেটে স্বর্ণের আমদানি শুল্কহার কমিয়ে আনার প্রস্তাব করা হলেও বাজারে চিত্র একেবারে উল্টো। প্রতি ভরিতে ১১’শ টাকা করে বেড়েছে সোনার দাম।
স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়ে যাওয়াতেই স্থানীয় বাজারে মূল্যবৃদ্ধি।
এবারের স্মার্ট বাজেটে পরিবর্তন এসেছে ‘ব্যাগেজ রুলস-এ। এখন বিদেশ থেকে সোনা আনার ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা পাবেন যাত্রীরা। একজন একসঙ্গে ১২টি সোনার বার আনতে পারবেন, ১০০ গ্রাম সোনার গয়নায়ও পাবেন বিনা শুল্কের সুবিধা। এছাড়া শুল্ক দিয়ে সর্বোচ্চ ২৩৪ গ্রাম বা ২০ ভরি ওজনের সোনার বার আনা যাবে। পাশাপাশি স্বর্ণ আমদানির শুল্কহার প্রতি ভরিতে কমেছে এক হাজার টাকা।
তবে রাজধানীর সোনার দোকানগুলোতে শুল্কহার কমার কোনো প্রভাব নেই। বরং বাজেটের পরদিনই প্রতি ভরিতে দাম বেড়েছে ১১’শ টাকা। অপরিবর্তিত আছে শুধুমাত্র সনাতন স্বর্ণের দাম।
ব্যবসায়ীদের দাবি, আমদানি শুল্ক কমানোর সঙ্গে স্বর্ণের দাম বাড়ার কোনো সম্পর্ক নেই। আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় দেশেও এর প্রভাব পড়েছে। তারা অবশ্য মনে করছেন, শুল্ক কমে এলে চোরাই পথে আসার স্বর্ণের পরিমাণ কমবে।
তবে হঠাৎ করে সোনার দাম বেড়ে যাওয়ায় স্বর্ণ কিনতে যাওয়া ক্রেতারা বেশ হতাশ।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি বলছে, স্থানীয় বাজারে স্বর্ণ কেনার হার কমে আসছে। এবারের ঈদে তাদের যে প্রত্যাশা ছিলো, বেচাবিক্রি তার ধারেকাছেও ছিল না।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: