মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল করার দায়িত্ব পুলিশের, দায়িত্ব আছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের। কিন্তু গ্রেফতার না হওয়ার জন্য সমন্বয়ের অভাব আছে বলে মন্তব্য করেছে তদন্ত সংস্থা।
তদন্ত সংস্থার সহ-সমন্বয়ক সানাউল হক বলেন, “পলাতক আসামীর ব্যাপারে শুধু আমরা না, ভুক্তভোগী, মামলার সাক্ষী এবং যারা মামলাটির জন্য দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন, তাদের সবার মাঝেই কিছুটা হতাশা কাজ করে। গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু হয়ে ইনস্পেকটর জেনারেলের কাছে একটি কপি যায়। এবং আরেকটি কপি যায় সংশ্লিষ্ট জেলার সুপার, অথবা শহর হলে মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কাছে।”
তদন্ত সংস্থা জানিয়েছে পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ জানিয়ে আবারও চিঠি দেবেন তারা।
গাইবান্ধা ও কুষ্টিয়্রা জামায়াতের ৬ কর্মীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের ৪ অভিযোগে প্রতিবেদন চূড়ান্ত করার কথা জানিয়েছে তারা।
তদন্ত সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়, একাত্তরে জামায়াতের কর্মী গাইবান্ধার পলাতক আবদুল জব্বার মন্ডল ও জাছিজার রহমান খোকা ১৯৭২ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধে গ্রেফতার হলেও তাদের বিচার হয়নি।
এছাড়া পলাতক আবদুল ওয়াহেদ মন্ডল, মোন্তাজ আলী ব্যাপারী, আজগর হোসেন খান এবং একমাত্র আটক রনজু মিয়াসহ সবাই একাত্তুরে জামায়াতের কর্মী ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে গাইবান্ধার বিভিন্ন স্থানে ২২ জনকে হত্যা, নির্যাতন, বাড়িঘর লুট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ আনা হয়। তদন্ত সংস্থার সহ-সমন্বয়ক সানাউল হক জানান, মামলার এক বছরের মধ্যেই প্রতিবেদন দেয়া হচ্ছে।
মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত পলাতক আসামীদের বিষয়ে তদন্ত সংস্থা জানায়, এ পর্যন্ত মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত ২২ জন; এর মধ্যে একজন মারা গেছে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত ২ জনসহ বিচারের বিভিন্ন পর্যায়ে পলাতক আছে মোট ৫৭। ওই একজন ছাড়া বাকিদের গ্রেফতারের বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের আদেশ অনুযায়ী উচ্চ পর্যায়ে কমিটি গঠনের পর সভা হয়েছে ১৩টি।