‘পৃথিবী আমাদের সম্পত্তি নয়, আমরা পৃথিবীর। একে আমরা পূর্ব পুরুষের কাছ থেকে পাইনি, পরবর্তী প্রজন্মের কাছ থেকে ধার করেছি।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আদিবাসী রেড ইন্ডিয়ানদের এক নেতা ১৮৫৪ সালে এমন কথা লিখেছিলেন।
যে কথার প্রাসঙ্গিকতা আজও ফুরাবার নয়। এ কথাগুলোর সারাংশকে ধ্রুব ধরেই তৃতীয়বারের মত মীর মাসরুর জামান রনির গ্রন্থনায় ‘ধরিত্রী’ নামে ব্যতিক্রমী একটি আবৃত্তি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে স্বরশ্রুতি।
এর আগেও দুইবার ‘ধরিত্রী’ নামে ব্যতিক্রমী আবৃত্তি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে স্বরশ্রুতি। শনিবার ছিলো ‘ধরিত্রী’র তৃতীয় মঞ্চায়ন।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি’র জাতীয় নাট্যশালার মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় প্রকৃতি নিয়ে এই আবৃত্তি অনুষ্ঠান।
যেখানে আবৃত্তি পরিবেশন করেন মো. আহকাম উল্লাহ, মীর মাসরুর জামান রনি, প্রণয় পলিকার্প রোজারিও, আশরাফুল আলম রাসেল, সেগুফতা ফারহাৎ সেঁজুতি ও জিনিয়া ফেরদৌসসহ মোট ৪১ জন আবৃত্তি শিল্পী।
মার্কিন সরকার রিজার্ভ ফরেস্ট তৈরির জন্য রেড ইন্ডিয়ানদের সিয়াটলের আবাসভূমি ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দিলে, তখনকার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্র্যাঙ্কলিন পিয়ার্সকে লেখা চিঠিতে ওই রেড ইন্ডিয়ান নেতা লেখেন, পৃথিবী আমাদের সম্পত্তি নয়, আমরা পৃথিবীর। একে আমরা পূর্ব পুরুষের কাছ থেকে পাইনি, পরবর্তী প্রজন্মের কাছ থেকে ধার করেছি।’
ওই চিঠিকে অন্যতম শ্রেষ্ঠ পরিবেশবাদী দলিল বলা হয়ে থাকে। কাব্যিক বিন্যাসে লেখা চিঠিটির সাহিত্যমূল্যও অসাধারণ। সেখান থেকেই ‘ধরিত্রী’র আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান স্বরশ্রুতির সাধারণ সম্পাদক মীর মাসরুর জামান রনি।
এমন আয়োজন নিয়ে তিনি আরো বলেন, আমরা চাই, স্বরশ্রুতি’র নিবেদন ‘ধরিত্রী’ প্রিয় বাসভূমির জন্য আমাদের মমতাকে আরও একটু জাগিয়ে তুলুক। পৃথিবীর ক্ষতি করে, ছোট বড় এমন যেকোনো কাজ থেকে আমাদের ফেরাক। তাহলে ভালো মন্দ মিলিয়ে এ পরিবেশনার উদ্দেশ্যটি অন্তত সফল হবে।