১১ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ফিরেই বাজিমাত করল বাংলাদেশ। প্রথমবারের মত আইসিসির কোন টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে জায়গা করে নিল টাইগাররা। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলাই ছিল লাল-সবুজদের আগের সেরা সাফল্য।
স্বপ্নের সেমিফাইনালের জন্য হয়ত ইংল্যান্ডের মুখপানে চেয়ে থাকতে হয়েছে। তারা অস্ট্রেলিয়াকে না হারালে সেমির চাবি মিলত না। কিন্তু এতে একটুও কমে যায় না টাইগারদের বীরত্বগাঁথা। শুক্রবার নিউজিল্যান্ডকে উড়িয়ে মহাকাব্যিক যে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন মাশরাফিরা, সেটাই ভিত গড়ে দিয়েছিল সেরা চারে পা রাখার।
কার্ডিফে অস্ট্রেলিয়াকে ২০০৫ সালে হারানোর স্মৃতি নিয়ে গতকাল মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। পরে নিউজিল্যান্ডকে ২৬৫ রানে আটকে রেখে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তির মঞ্চ প্রস্তুত করে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে নামার কিছুপরই চক্ষু চড়কগাছ। ১২ রানেই তিন উইকেট হারানোর পর ত্রিশের কোটায় আরো একটি নেই।
সেখান থেকেই রচিত হয়েছে এক মহাকাব্যিক ইতিহাস। সাকিব-মাহমুদউল্লাহর রেকর্ড জুটিতে সব ছত্রখান। ৫ উইকেটের জয় টাইগারদের। আর বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসের সর্বোচ্চ জুটি গড়ে সাকিব-মাহমুদউল্লাহ থেমেছেন ২২৪ রান যোগ করে। তাতে সাকিবের অবদান ১১৪, আর মাহমুদউল্লাহর অপরাজিত ১০২ রানের।
মহাকাব্যিক সেই কিউই বধে নিজেদের কাজটা ঠিকঠাক করে রাখাতেই শনিবার সেমির টিকিট অর্জিত হল বাংলাদেশের। ইংল্যান্ডের কাছে অস্ট্রেলিয়া হারায় তাই টাইগার রূপকথার পরের অংশটাই কেবল পূর্ণতা পেল।
গত বিশ্বকাপের কোয়ার্টারে খেলার পর সেমিতে যাওয়াই এখন বাংলাদেশের ক্রিকেটাকাশে সেরা সাফল্য। তবে এশিয়া কাপ ও এশিয়া কাপ টি-টুয়েন্টির ফাইনালে খেলার অভিজ্ঞতাও আছে লাল-সবুজদের। দেশের মাটিতে এশিয়ার দলের সঙ্গে সেই খেলা, আর ইংলিশ কন্ডিশনে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের গ্রুপে থেকে সেরা চারের টিকিট কাটা নিশ্চয় সমান্তরাল নয়।
কঠিন গ্রুপের সমীকরণের পথে অজিদের হারিয়ে ইয়ন মরগানের দল ‘এ’ গ্রুপে সেরা হয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে সেমিতে। রানার্সআপ বাংলাদেশের পয়েন্ট হল ৩! আগামী বৃহস্পতিবার এই এজবাস্টনেই দ্বিতীয় সেমিফাইনালে খেলবে টাইগাররা। প্রতিপক্ষ এখনো ঠিক হয়নি। ‘বি’ গ্রুপের সেরা চারের লড়াইয়ে যে দলটি শীর্ষে থাকবে তারাই মুখোমুখি হবে বাংলাদেশের।