ঈদকে সামনে রেখে নৌপথে বিশেষ লঞ্চ সেবা শুরু হয়েছে। তবে বৃষ্টির কারণে দুর্ভোগে পড়তে হয় যাত্রীদের। বৈরি আবহাওয়ায় নৌপথে সতর্কতাও আছে। দেশের সব নদী বন্দরকে এক নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
স্বাভাবিক সময়ে সদরঘট থেকে দিনে ৬০-৬৫টি লঞ্চ ছেড়ে গেলেও ঈদ স্পেশালের প্রথম দিন এ সংখ্যা ছিলো ৯০-৯৫টি। লঞ্চগুলোর মোট ধারণক্ষমতা ৭০ থেকে ৮০ হাজার। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত প্রতিদিন এক লাখের বেশি মানুষ নদী পথে বিভিন্ন গন্তব্যে যাবে। সে হিসাবে প্রতিদিনই ২০ থেকে ৩০ হাজার অতিরিক্ত যাত্রী বহন করবে লঞ্চগুলো।
পরিস্থিতি মোকাবেলায় লঞ্চ মালিকদের পাশাপাশি দক্ষিণাঞ্চলীয় ৪ জেলার জন্য ৯টি নতুন লঞ্চ যোগ করেছে বিআইডব্লিউটিএ। টার্মিনালে যাত্রী হয়রানি বন্ধ, লঞ্চের যাত্রী গণনা এবং ছাড়ার সময়ও নিয়ন্ত্রণ করছে সংস্থাটি।
বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক জয়নাল আবেদীন জানান, ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় আজ একটি লঞ্চের যাত্রা বাতিল করা হয়। লঞ্চটিতে আরেকটি লঞ্চ ধাক্কা দেয়ার পর ছিদ্র তৈরি হয়। আর প্রত্যেকটি লঞ্চকে ধারণক্ষমতা পূরণের পর দ্রুত বন্দর ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হচ্ছে।
ঈদ যাত্রায় বাস্তবতা যাই হোক না কেন প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ির পথে দক্ষিণাঞ্চলের হাজারো মানুষ। বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঘরে ফেরা মানুষদের মধ্যে অনেকেই জানালেন, দীর্ঘ দিন পর বাড়ি যাচ্ছেন। আবার শখের কারণে কারও জন্য এটাই প্রথম লঞ্চ ভ্রমণ।
তবে লঞ্চের শিডিউল না জানায় অনেককেই দীর্ঘ সময় বসে থাকতে হয়। আবার অনেকের অভিযোগ, ধারণ ক্ষমতার বেশি যাত্রী হলেও ছেড়ে যাচ্ছে না লঞ্চগুলো।