সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ বলেছেন, তার মামাতো বোনের ছেলে সৈয়দ ইফতেখার আলম প্রকাশ (সৌরভ) নিখোঁজের ঘটনায় সূত্রপাতগুলো সম্পূর্ণ অবহেলা করা হয়েছে।
একইসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, গণমাধ্যম এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে প্রশ্ন তিনি রেখেছেন, পরিবারের পক্ষ থেকে অপহরণের বিবরণ দেয়ার পরও কেন বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়নি? কেন পরিবারের অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে না?
বুধবার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লাইভে আসেন সোহেল তাজ। এসময় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলাম। সুতরাং এ ধরনের ঘটনা কিভাবে তদন্ত করতে হয় সে সম্পর্কে ওয়াকিফহাল।
সোহেল তাজ বলেন, এ ধরণের ঘটনায় সাধারণত দু’টি বিষয় খুব গুরত্বপূর্ণ।
১। অপহৃতকে জীবত বা মৃত অবস্থায় উদ্ধার করার অভিযান।
২। পরিবার যে অভিযোগগুলো করেছে তা গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা।
তিনি বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে যেসব অভিযোগের বিবরণ দেয়া হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে হবে।আমরা বলেছি ফেব্রুয়ারি মাসের ১২ তারিখে বনানী থানায় সৌরভকে ডেকে পাঠানো হয়। ১৬ মে মোবাইল ট্র্যাকার দিয়ে সবার সামনে বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। সর্বশেষ তাকে চট্টগ্রামে দেখা যায়।
‘আমার প্রশ্ন হলো ওই থানায় বা যারা সৌরভকে আটককরে নিয়ে গেল তাদের বিরুদ্ধে সরকারের পক্ষ থেকে বা পুলিশি তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে সেই জায়গুলোতে কি আপনারা তদন্ত করেছেন? কেন বিভাগীয় তদন্ত শুরু করা হয়নি? যারা দেশপ্রেমিক পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছেন তারা কেন এই প্রশ্নটা করছেন না?’, বলেন সোহেল তাজ।
তিনি বলেন, সৌরভ একটি ভালো ছেলে, অসুস্থ বাবা-মাকে স্কুলে চাকরি করে সাহায্য করেছে। ও আর দশটা সাধারণ মানুষের মতোই সাধারণ।
তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন সৌরভকে উদ্ধার করার। আমরা আর কিছু চাই না, আমরা জীবিত অবস্থায় সৌরভকে ফিরে পেতে চাই, প্রয়োজনে আমার কোনো সাহায্য লাগলে আমি দিতে প্রস্তুত।
এর আগে বুধবার বেলা বারোটার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে সোহেল তাজ বলেন, নিখোঁজ ভাগ্নের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে তার বাবা-মায়ের কাছে কল এসেছিল।
সোহেল তাজ জানান: মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সৌরভের নম্বর থেকে হোয়াটস অ্যাপে কল এসেছে তার বাবা-মায়ের কাছে। এছাড়াও এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কী কী কথা হয়েছে সেসব নিয়েও সৌরভের বাবা-মার সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছে সোহেল তাজের পরিবার। প্রযুক্তি ব্যবহার করে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ, ডিসি নর্থ, ডিসি কাউন্টার টেররিজম ইউনিট আশ্বস্ত করেছেন নম্বরটি ট্রেস করার।