বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি কাপে বেক্সিমকো ঢাকাকে ৯ উইকেটে হারিয়ে উড়ন্ত সূচনা করেছে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। ৮৯ রানের সহজ লক্ষ্যে দলটি পৌঁছায় ১০.৫ ওভারে মাত্র এক উইকেট হারিয়ে। সৌম্য সরকার ৪৪ ও মুমিনুল হক ৮ রানে অপরাজিত থাকেন।
১০ উইকেটের জয়ই পেতে পারত চট্টগ্রাম। জয় থেকে যখন ১০ রান দূরে, নাসুম আহমেদের বলে বোল্ড হন লিটন দাস। ৩৩ বলে ডানহাতি ওপেনার করেন ৩৪ রান। তার ইনিংসে ছিল তিনটি চার ও একটি ছয়ের মার।
ঢাকা-৮৮/১০ (১৬.২ ওভার), চট্টগ্রাম-৯০/১ (১০.৫ ওভার)
সৌম্য খেলা শেষ করে মাঠ ছাড়েন। বাঁহাতি ওপেনার মাত্র ২৯ বলে খেলেন ৪৪ রানের চোখ জুড়ানো ইনিংস। মারেন দর্শনীয় চারটি চার ও দুই ছক্কা। বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে হতাশ করা সৌম্য ও লিটন টি-টুয়েন্টি আসরে নেমে ফিরেছেন রানে।
চট্টগ্রামের ওপেনিং জুটিতে আসে ৭৯ রান। জয়ের কাছে গিয়ে আউট হন লিটন। মুমিনুল নেমে দুই বাউন্ডারিতে শেষের কাজটা সারেন।
মুশফিকুর রহিমের ঢাকা টানা দুই ম্যাচ হারল। প্রথম ম্যাচে তাদের হারায় সাকিব-মাহমুদউল্লাহদের জেমকন খুলনা।
বৃহস্পতিবার টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে চট্টগ্রামের বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি ঢাকা। ১৬.২ ওভারে গুটিয়ে যায় মাত্র ৮৮ রানে।
নাঈম শেখ ছাড়া সবাই ছিলেন নিজেদের ছায়া হয়ে। বাঁহাতি ওপেনার নাঈম খেলেন ২৩ বলে ৪০ রানের ইনিংস। তিনটি করে চার ও ছয় হাঁকান।
আকবর আলীর ১৫ ও মুক্তার আলীর ১২ রান ছাড়া বাকি কেউই তিন অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। ব্যাটিংয়ে দলের হতাশা বাড়ান অধিনায়ক মুশফিক। বিপদের সময় নেমে প্রথম বলেই রিভার্স সু্ইপ করতে গিয়ে ক্যাচ দেন স্লিপে।
রানের খাতা খোলার আগে আউট হন দলটির আরও দুই ব্যাটসম্যান। সাব্বির রহমান ১০ বল খেলেও রান করতে পারেননি। শূন্য রানে আউট হওয়া আরেক ব্যাটসম্যান আবু হায়দার রনি।
চট্টগ্রামের ছয় বোলারই পেয়েছেন উইকেট। শরিফুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও তাইজুল ইসলাম নেন দুটি করে উইকেট। একটি করে উইকেট নেন সৌম্য সরকার ও নাহিদুল ইসলাম।