৫০ ওভারের ক্রিকেটে ডাবল সেঞ্চুরি, দেশের ক্রিকেটে এ ভাবনাটি প্রথম ঢুকিয়েছিলেন রকিবুল হাসান। ২০১৬ সালে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আবাহনীর বিপক্ষে ১৯০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন মোহামেডানের রকিবুল। পরে অনেকেই বিশ্বাস করতে শুরু করেন, ডাবল সেঞ্চুরিও আসবে। প্রতীক্ষার অবসান ঘটান সৌম্য সরকার। ২০১৯ সালের আজকের দিনেই প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে করেন দ্বিশতক।
লিগের প্রথম ১১ ম্যাচে কোনো ফিফটির দেখা না পাওয়া সৌম্যর ব্যাট হাসে শেষটায় এসে। ২৩ এপ্রিল বিকেএসপিতে ঝলমলে দুপুরে রানের তৃষ্ণা মেটান বাঁহাতি ওপেনার। আবাহনীকে এনে দেন শিরোপা।
শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের ৩১৭ রান টপকানোর ম্যাচে সৌম্য ১৫৩ বলে ২০৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে আকাশী-নীলদের উপহার দেন ৯ উইকেটের অবিস্মরণীয় জয়। ডাবল সেঞ্চুরির পথে ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশ কয়েকটি রেকর্ডে নাম লেখান।
১৩৭ বল খেলে সৌম্য পৌঁছান ১৯০-এ। ইমতিয়াজ হোসেনকে চার মেরে ১৪৯ বলে পৌঁছান স্বপ্নের ডাবলে। ৩১৮ রান তাড়ায় সৌম্য শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ২০৮ রানে। খেলেন ১৫৩ বল। মারেন ১৬টি ছক্কা ও ১৪টি চার।
তার আগের ম্যাচেও সেঞ্চুরি করেছিলেন সৌম্য। লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে ৭৯ বলে খেলেন ১০৬ রানের ইনিংস। তিন অঙ্কে পৌঁছান মাত্র ৭১ বলে। অথচ লিগে তার আগের ১১ ম্যাচে মোটে ১৯৭ রান করায় সমালোচনা হচ্ছিল খুব। বিশ্বকাপ মিশনে যাওয়ার আগে স্বস্তির বাতাস বইয়ে দেন সেঞ্চুরি, ডাবল সেঞ্চুরিতে।