চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

সৌদি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক অনুষ্ঠিত

সৌদি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আদেল আল জুবাইর এর সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

উক্ত বৈঠকে বাংলাদেশ-সৌদি আরবের মাধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। এর পূর্বে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছলে সৌদি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সফররত প্রতিমন্ত্রীকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান ও অত্যন্ত হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সৌদি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে বাংলাদেশের সকল জনগণকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে গত এক দশকে বাংলাদেশের যে অভাবনীয় উন্নয়ন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যে অর্জন তার ভূয়সী প্রশংসা করেন সৌদি প্রতিমন্ত্রী।

বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হওয়াকে তিনি বর্তমান সরকারের সফলতা হিসেবে উল্লেখ করেন। সৌদি আরব ও বাংলাদেশের মধ্যে যে ঐতিহাসিক ভাতৃপ্রতিম সম্পর্ক রয়েছে তা নতুন উচ্চতায় নিয়ে বহুমাত্রিকতার রূপ দানে তিনি বাংলাদেশের সাথে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।

শাহরিয়ার আলম সাম্প্রতিক সময়ে ইয়েমেনের হুতি কর্তৃক সৌদি আরবে হামলার তীব্র নিন্দা জানান ও সৌদি আরবের প্রতি বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। ইয়েমেন ইস্যুতে বাংলাদেশকে তাদের পাশে পাওয়া ও এর অব্যাহত সমর্থননের জন্য আদেল আল জুবাইর বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশের চমৎকার ব্যাবসায়িক পরিবেশের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশের সাথে সৌদি আরবের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ বৃদ্ধিতে বিটুবি (বিজনেস টু বিজনেস) সংলাপের ওপর জোর দেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

তিনি বাংলাদেশের পিপিপিএ (পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশীপ অথরিটি) ও সৌদি কর্তৃপক্ষের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের আহবান জানান, যা সৌদি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য অবারিত সুযোগ তৈরি করবে।

সৌদি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন খুব শীঘ্রই এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে যা সম্ভাব্য সৌদি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ বৃদ্ধি করবে।