আগামী ২০১৭ অর্থবছরের জন্য বাজেট ঘোষণা করেছে সৌদি আরব। নতুন বাজেটে দেশটির ঘাটতি আরও কমানো হয়েছে। এ ঘাটতি দুই তৃতীয়াংশ কমবে বলে জানিয়েছে দেশটির অর্থমন্ত্রণালয়। যার ফলে শঙ্কা কাটিয়ে সৌদি অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থনীতি বিশ্লেষকরা।
সৌদি অর্থমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগামী অর্থবছরে বাজেট ঘাটতি কমে হবে ৩৩ শতাংশ; যার পরিমাণ ১৯৮ বিলিয়ন সৌদি রিয়েল (৫৩ বিলিয়ন ডলার)। যে পরিমাণ ঘাটতি হবে সেটা ‘নিয়ন্ত্রণযোগ্য’। আর অর্থনীতির পুরো অস্বস্তি কাটিয়ে ২০২০ সালে বাজেট ঘাটতি শূন্যের কোটায় নামবে।
নতুন বছরের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২৩ হাজার ৭০০ কোটি ডলার। এর বিপরীতে দেশটির বিভিন্ন খাত থেকে আয় ধরা হয়েছে ১৮ হাজার ৪০০ কোটি ডলার।
বাজেটে চলতি অর্থবছরেও ঘাটতি কমবে বলে জানানো হয়েছে। সে অনুযায়ী এ বছর দেশটির ঘাটতি কমে ৭ হাজার ৯০০ কোটি ডলার দাঁড়াতে পারে; আগের পূর্বাভাস থেকে যা প্রায় ৯ শতাংশ কম। ২০১৫ সালে সৌদির এই ঘাটতি ছিল প্রায় ১০ হাজার কোটি ডলার; যা দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি।
সৌদি আরবের বর্তমন বাজেট ঘাটতি ও অর্থনীতির নিম্নমুখীতার অন্যতম কারণ ইয়েমেন যুদ্ধ। এই যুদ্ধে জোট শরিকদের ব্যয়ভার বহনসহ প্রচুর খরচ হচ্ছে দেশটির। সে কথা স্বীকার করে সৌদি অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমাদের দেশ, সীমান্ত ও মানুষ রক্ষার ক্ষেত্রে অর্থমূল্য বিবেচ্য নয়।’
আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের টানা দরপতনে দেশটির অর্থনীতি যখন ভেঙ্গে পড়েছে তার মধ্যেই এ বাজেট ঘোষণা করা হলো এবং বাজেটে আগামী ৫ বছরের জন্য একটি পরিকল্পনার কথা বলা হয়েছে যেখানে তেল, গ্যাস, পানির দাম বাড়ানোসহ ভর্তুকি কমানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
নতুন বাজেটে প্রবাসী শ্রমিকদের ওপর মাসিকহারে ফি ধরা হয়েছে। তবে কত ধরা হয়েছে- তা শেষ খবর পর্যন্ত আরব নিউজ বাজেট পরবর্তী কোনো সংবাদে উল্লেখ করেনি। তবে এর আগের প্রতিবেদনে এই হার ৮০০ রিয়েলের কাছাকাছি আরোপ হতে পারে বলে জানানো হয়।
২০১৬ সালে সৌদি আরবের মোট রাজস্ব আয় ছিল ৫২৮ বিলিয়ন রিয়েদ। আগামী বছর সেটা বেড়ে দাঁড়াবে ৬৯২ বিলিয়ন রিয়েলে। ২০১৭ সালে তেল থেকে রাজস্ব আয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৮০ মিলিয়ন রিয়েল। যা মোট রাজস্ব আয়ের ৪৬ শতাংশ। আর তেল বহির্ভূত খাত থেকে আসবে ২১২ বিলিয়ন রিয়েল। যা গতবছর থেকে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি।