সৌদি আরবের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট। বৃহস্পতিবার একটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে ইউরোপীয় সংসদ। প্রস্তাব পাশ হলেো ইউরোপীয় সংসদের প্রস্তাব মানার ক্ষেত্রে বাধ্যবাধকতা নেই। তবে এটি সৌদি আরবের বিরুদ্ধে বেশ চাপ সৃষ্টি করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইয়েমেন হাউতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে চালােনা সৌদি আরবের সামরিক অভিযানের মধ্যই এই প্রস্তাব এলো। এর আগে আভাজ নামের একটি সংগঠনের চালানো প্রচারণায় ৭ লাখ ৪০ হাজার মানুষ সৌদি আরবের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার জারির পক্ষে সাক্ষর করেন।
ইউরোপীয় সংসদের ৩৫৯ জন প্রস্তাবের পক্ষে এবং ২১২ জন বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। এ ছাড়া ৩১ সদস্য ভোটদানে বিরত থাকেন। বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে বোমা বর্ষণের জন্য সৌদি আরবের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
ইইউর ২০০৮ সালের আইনানুযায়ী যেসমস্ত বিবদমান দেশগুলোতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের আইন লঙ্ঘিত হয়, সেসব দেশের কাছে অস্ত্র বিক্রি করা যাবে না।
প্রস্তাব গ্রহণ করার পর গ্রিন ইউরোপীয়ান ফ্রি অ্যালায়েন্সের মুখপাত্র অ্যালিন স্মিথ বলেন, রিয়াদের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বানের মধ্যদিয়ে ইয়েমেনে আগ্রাসন ইস্যুতে সৌদির ভূমিকার বিষয়ে ইউরোপীয় সাংসদের ব্যাপক ক্ষোভের দিকটিই ফুটে উঠেছে।
তিনি আরো বলেন, ব্রিটেন এবং ফ্রান্সের শীর্ষ অস্ত্র ক্রেতা হলো সৌদি আরব। আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে এসব অস্ত্র ইয়েমেনে ব্যবহারের তথ্য-প্রমাণ রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এছাড়া তিনি বলেন, সৌদি আগ্রাসন চালানোর পর ইয়েমেনে হাজার হাজার নিরীহ বেসামরিক মানুষ মারা গেছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে তৈরি অস্ত্র সৌদিতে রফতানি করার বিশ্বাসযোগ্য তথ্যপ্রমাণ রয়েছে বলে উল্লেখ করেন ইইউ’র পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক ফেডারিক মোগিরিনি।
গত বছরের মার্চ থেকে ইরান সমর্থিত হাউদের বিরুদ্ধে চালানো সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের অভিযানে এ পর্যন্ত ৭ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। এসময় ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ মারাত্মকভাবে আহত হয়।