শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সকাল ১০ টার দিকে ভোট দিতে এফডিসিতে এসেছিলেন কিংবদন্তি অভিনেতা ও প্রযোজক সোহেল রানা। কিন্তু নির্বাচনী পাশ না থাকায় এফডিসির গেটেই থামতে হলো তাকে!
গেট পাশ না থাকায় প্রথমে নির্বাচনে দায়িত্বরত পুলিশ সোহেল রানাকে এফডিসির ভেতরে প্রবেশে বাধা দেয়। এরপর প্রযোজক সমিতির অফিস সহকারী সোমেন্দ্র চন্দ্র সোহেল রানার পরিচয় নিশ্চিত করলেও তাকে ঢুকতে দেননি বলে অভিযোগ।
সোহেল রানাকে বাধা প্রদান প্রসঙ্গে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, প্রধান নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা আছে, কোনো পাশ ছাড়া এফডিসিতে কেউ যেন ঢুকতে না পারে। আমরা কেবল আমাদের দায়িত্বই পালন করছি।
এ ঘটনা জানাজানি হলে এফডিসির ভেতর থেকে ছুটে যান অন্যান্য শিল্পীরা। এরপর এফডিসির গেট থেকে সোহেল রানাকে এফডিসির ভেতরে নিয়ে যান।
এফডিসিতে প্রবেশ করেই সোহেল রানা ক্ষোভ ঝাড়তে থাকেন। বলেন, এটা শিল্পীদের কোনো নির্বাচন হচ্ছে? এখানে এতো পুলিশ কেন? আমার চলচ্চিত্র জীবদ্দশায় এমন বাজে নির্বাচন কখনো দেখিনি।
সোহেল রানা আরও বলেন, এফডিসিতে ঢুকতে আমার মতো সোহেল রানাকে কয়েক ধাপ বাধা পার করে আসতে হয়েছে। তিনি উত্তেজিত হয়ে আরও বলেন, শিল্পীদের নির্বাচনে এতো পুলিশ পাহারা কেন থাকবে? কদিন আগে এফডিসির সব নির্বাচন হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশে। কিন্তু এবার শিল্পী সমিতির নির্বাচনে মনে হচ্ছে পুলিশি ক্যাম্প! এটা কেন হলো?
এফডিসি নির্মাণের পর থেকেই সেখানে সোহেল রানাদের আনাগোনা। শুরু থেকে তারাই ছিলেন। ঘর বাড়িরর চেয়ে এফডিসি তাদের কাছে বেশি আপন। তারপরেও কেন গেটে তার মতো গুণী মানুষকে থামতে হলো, এমন প্রশ্ন অনেকের।
এ বিষয়ে সেখানে উপস্থিত থাকা চিত্রনায়ক ফেরদৌস বলেন, এটা মোটেও উচিত হয়নি। সোহেল রানা সাহেব সম্মানের পাত্র। তাকে যথাযথ সম্মান দেয়া উচিত ছিল।
এদিকে শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। চলবে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত।
এবার সমিতির ২১টি পদের মধ্যে নির্বাচন হচ্ছে ১৮টি পদের। কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় বাকি তিন পদের প্রার্থীকে সংগঠনটির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচিত ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।