পশ্চিমা কোন দেশে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটলে সবার আগে প্রতিক্রিয়া জানালেও আফ্রিকার দেশ সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসুতে ভয়াবহ গাড়িবোমা হামলার ঘটনায় এখনও কোন প্রতিক্রিয়া জানাননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অথচ শনিবারের এই ভয়াবহ হামলায় এখনও পর্যন্ত অন্তত তিনশ’ মানুষ নিহত হয়েছেন।
ট্রাম্পের এমন দ্বৈত নীতির কারণে সোমালিয়ার সংবাদমাধ্যম হিরান তাদের এক প্রতিবেদনে ট্রাম্পের তীব্র সমালোচনা করে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়: টুইটারে বার্তা লেখার জন্য যেখানে ট্রাম্পের সুনাম রয়েছে, সেখানে সন্ত্রাসী হামলায় মোগাদিসুতে শত শত মানুষ নিহত হওয়ার পর তিনি টুইটার কিংবা অন্য কোন মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দেখাননি। অথচ পশ্চিমা দেশগুলোতে এমন ঘটনা ঘটলে বিস্তারিত কিছু না জেনেই ট্রাম্প তার মতো করে মন্তব্য করে যান। কিন্তু এক্ষেত্রে এখনও তিনি চুপ করে আছেন। একবার শুধু হোয়াইট হাইজ থেকে প্রবাদতুল্য ঝিঁঝিঁ পোকার ডাকের মতো শোনা গেছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়: সম্ভবত মোগাদিসুর হামলার ঘটনা ট্রাম্পের নির্বাচনী ক্ষেত্রে কোন প্রভাব ফেলবে না। আল কায়েদা সংশ্লিষ্ট কোন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর হামলায় তিনশ’ মানুষ নিহত হলেও বর্ণবাদের বিরুদ্ধে কালো এনএফএল খেলোয়াড়দের প্রতিবাদ তাকে বেশি ক্ষুব্ধ করে তোলে। কিংবা অন্য কারণও হতে পারে। নিউজউইক হোয়াইট হাউজে গিয়ে প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য ট্রাম্পকে সুযোগও করে দিয়েছিল, কিন্তু তিনি কোনকিছু বলেননি।
অবশ্য হোয়াইট হাউজ থেকে হামলায় নিহতদের প্রতি শোক জানিয়ে শুধু একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র সোমালিয়ার সরকারের সঙ্গে তাদের অবস্থান অব্যাহত রাখবে। কিন্তু বাস্তবে দেশ দু’টির অবস্থান পরস্পর বিরোধী। এ কারণে সোমালিয়া যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় অন্যতম।
তবে মার্কিন সৈন্যরা এখনও সোমালিয়ায় সক্রিয় রয়েছে। জঙ্গিগোষ্ঠী আল-শাবাবের বিরুদ্ধে তারা ড্রোন হামলা পরিচালনা করছে এবং সোমালিয় সৈন্যদের সহযোগিতা করছে।
আফ্রিকা অঞ্চলে নিয়োজিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান কমান্ডার সোমালিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতের দু’দিন পরই মোগাদিসুতে এই হামলার ঘটনা ঘটে।এই হামলার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র সেখানে তাদের সৈন্য উপস্থিতি আরও বাড়াতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।