এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
মালিকানা দ্বন্দ্বে কয়েকমাস আগে স্থগিত হয়ে গিয়েছিল বার্সেলোনার সঙ্গে লিওনেল মেসির চুক্তির বিখ্যাত ন্যাপকিনের নিলাম। জটিলতা কাটিয়ে ব্রিটিশ নিলাম হাউস বোনহামসের মাধ্যমে আবারও নিলামে উঠেছে সেটি। আগামী ১৭মে পর্যন্ত চলবে নিলাম। যার মূল্য তিন থেকে পাঁচ লাখ পাউন্ড হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৪ কোটি ৩৭ লাখ থেকে ৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
চলতি বছর মার্চে সেই ন্যাপকিনের নিলাম হওয়ার কথা থাকলেও মালিকানা দ্বন্দ্বে স্থগিত হয়ে যায়। গত দুদশক ধরে ন্যাপকিন পেপারটি ছিল আর্জেন্টাইন ফুটবল এজেন্ট হোরাচিও গ্যাগিওলির কাছে। নিলামের কথা শুরু হলে মালিকানার দাবি করে বসেন আরেক এজেন্ট জোসেফ মিনগেলা।
নিলাম হাউস বোনহামস ফুটবল ইএসপিএনকে বলেছিল, ন্যাপকিন পেপার বিক্রির ক্ষেত্রে ‘কোনো সমস্যা নেই’। তাদের ওয়েবসাইটে ‘হোরাচিও গ্যাগিওলির সম্পত্তি’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা আছে এটি।
মেসি-বার্সার ঐতিহাসিক চুক্তি হয়েছিল ২০০০ সালে। তখন মেসির বয়স সবে ১৩। সেবছর আর্জেন্টিনা থেকে বার্সেলোনার ট্রায়াল দিতে এসে সবাইকে চমকে দেন ছোট মেসি। ট্রায়াল শেষে মেসি ফিরে আসলে হঠাৎ করেই বার্সার ক্রীড়া পরিচালক কার্লোস রেক্সাস মেসির পরিবারকে দুপুরের খাবারের আমন্ত্রণ জানান। হোটেলে একটি ন্যাপকিনে হয় ঐতিহাসিক চুক্তিটি। বার্সার হয়ে যান মেসি।
রেক্সাস ছাড়াও ন্যাপকিন পেপারে সই ছিল বার্সার দলবদল বিষয়ক পরামর্শক জোসেফ মিনগেলা ও এজেন্ট হোরাচিও গ্যাগিওলির। এজেন্ট গ্যাগিওলিই মেসির নাম প্রথম সুপারিশ করেছিলেন। তখন কাতালান ক্লাবটির সভাপতি ছিলেন হুয়ান গাসপোর্ত।
২০২১ সালে বার্সা ছাড়ার আগে ৭৭৮ ম্যাচে ক্লাবের ইতিহাস সর্বোচ্চ ৬৭২ গোল করে গেছেন মেসি। জিতেছেন ১০টি লা লিগা, ৪টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ অনেক দলীয় শিরোপা ও ফিফা বর্ষসেরা থেকে ব্যালন ডি’অরের মতো ব্যক্তিগত পুরস্কার।