খুব বেশি কিছু বলার দরকার পড়েনি রোনাল্ড কোম্যানের। অনেকদিন বাদে মাঠ ছাড়ার সময় লিওনেল মেসি, জেরার্ড পিকেদের মুখের হাসিই বলে দিচ্ছিলো সব। নতুন লা লিগা মৌসুম টানা দুই জয় দিয়ে শুরুর আনন্দ তো আছেই, তার চেয়ে বড় কথা খেলার ধরণ আর কৌশল রাতারাতি পাল্টে পাঁচ বছরের বেশি সময় পর সেল্টা ভিগোকে তাদেরই মাঠে ৩-০ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনা। কোম্যানের হাত ধরে বার্সায় যে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে চলেছে এ যেন তারই শুরু।
তার চেয়েও বড় কথা, ইদানীং মেসির মুখে হাসি ফিরেছে। গত মৌসুমের দলটা নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করার পর স্বাভাবিক হাসি সেই যে উধাও হয়েছিলো, রোববার থেকে সেই হাসি মুখে আসতে আসতে ফেরা শুরু করেছে আর্জেন্টাইন তারকার মুখে। সেদিন ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে ৪-০ গোলের জয় দিয়ে মৌসুম শুরু করেছিলো বার্সা। আর বৃহস্পতিবার সেল্টার মাঠ থেকে পাঁচ বছর পাওয়া জয়টাই হয়তো বদলে দিতে শুরু করেছে ৩৩ বছর বয়সী ফরোয়ার্ডের আত্নবিশ্বাস। বার্সা অধিনায়কের মনে হয়তো বিশ্বাস ফিরতে শুরু করেছে, নাহ এই দলটাকে দিয়েই হবে!
ভিয়ারিয়াল ও সেল্টা ভিগো, দুই ম্যাচ থেকে বার্সার আরেক প্রাপ্তির নাম আনসু ফাতি। এবারের মৌসুমেই মূল দলে পদোন্নতি পাওয়া ১৭ বছর বয়সী সেনসেশন দিন দিন নিজের বিস্ময় বাড়িয়েই যাচ্ছেন। প্রথম ম্যাচে দুই আর সেল্টার বিপক্ষে এক; সব মিলিয়ে বার্সার সাত গোলের তিনটিই নিজের নামের পাশে যোগ করার পর স্প্যানিশ টিনেএজার বুঝিয়ে দিচ্ছেন কেন তাকে বার্সায় মেসির যোগ্য উত্তরসূরি ভাবা হচ্ছে।
কোম্যানের দুই ম্যাচে রক্ষণেও ফিরেছে স্বস্তি। বিশেষ করে সেল্টার মাঠে একপর্যায়ে তো দশজনের দলে পরিণত হয়েছিলো বার্সা। দুই হলুদ কার্ড দেখে মাঠ থেকে বের হয়ে যান ক্লেমো ল্যাংলে। এরপরও যে অতীতের মত পিকেরা যে খেই হারাননি তাও এক বড় বিষয়।
বার্সায় নতুন শুরুর পর সেরাটা দেখা যাচ্ছে ফিলিপে কৌতিনহোর মাঝে। গত মৌসুমটা বায়ার্নে কাটিয়ে দেওয়ার পর এবারই ব্রাজিলিয়ান তারকাকে নিয়মিত দলে রাখছেন বার্সা কোচ। কৌতিনহো তার প্রতিদানও দিচ্ছেন। টানা দুই ম্যাচে আনসু ফাতিকে দিয়ে দুই গোল করিয়েছেন, ভাগ্য সহায় থাকলেও তার নামের পাশেও থাকতো গোল। বার্সায় এসে কৌতিনহো যে নিজের সেরাটা দিতে পারছেন, ক্লাবটির সমর্থকদের জন্য এ অনেক স্বস্তির মধ্যে একটি।